Suvendu Adhikari attacks Bangla Pokkho: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য ২০০ আসন টার্গেট করেছিল বিজেপি। টার্গেট বেধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এই বাংলায় ৭৭-এ থেমে গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের অশ্বমেধের ঘোড়া। গণনা কেন্দ্রের কারচুপি-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিল বিজেপি। তিন বছর পর কয়েকটি কেন্দ্রে দলের হেরে যাওয়া নয়া তত্ত্ব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্লোগান নিয়েও পদ্মশিবির যে পিছিয়ে ছিল তাও কার্যত স্বীকার করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
গত বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেকটা তাঁর ওপর ভরসা করেই বাংলার ভোট ময়দানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিল বিজেপি। এমনকী নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী মুখোমুখি লড়াই করেছেন। এবার উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি ও হাওড়ার কয়েকটি বিধানসভায় বিজেপির হেরে যাওয়ার দায় চাপালেন বাংলা পক্ষের ওপর।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
"বাংলাপক্ষের কাজ হচ্ছে বাঙালি-অবাঙালি করে হিন্দুদের বিভাজিত করা। এই ফর্মুলাতে গত একুশের ভোটে ব্যারাকপুর, চন্দননগর ও হাওড়া শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের লাভ হয়েছে। মুসলিম ভোট সঙ্গে বাঙালি সেন্টিমেন্ট ছিল, বিজেপি অবাঙালিদের পার্টি। এটা অন্য কিছু নয় হিন্দুদের বিভাজন করার জন্য এটা করে।" পাশাপাশি এদিন ফের তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
বাংলা পক্ষের বক্তব্য, তাঁরা ভোটে নেই। কিন্তু বাংলা ও বাঙালি বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী সর্বত্র বাংলা পক্ষের ভূত দেখেন। শহরাঞ্চল ও শিল্পাঞ্চলের বাঙালি বাংলা পক্ষের কথা শোনে, এটা শুভেন্দুর মন্তব্যে স্পষ্ট বলে তাঁরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবেন তন্ময়? শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবিতে তোলপাড়
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান ছিল বাংলা তার মেয়েকে চায়। একইসঙ্গে বহিরাগত স্লোগান তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বহিরাগতর সঙ্গে বিজেপি বাঙালি বিরোধী দল বলেও প্রচার চলেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলা পক্ষকে যতই তোপ দাগুক না কেন শুভেন্দু অধিকারী স্বীকার করে নিয়েছেন, তৃণমূলের বহিরাগত স্লোগানেও বিজেপি কুপোকাত হয়েছে। বিজেপি যে বাঙালি বিরোধী দল নয়, সেটাই বোঝাতে তৎপর বিরোধী দলনেতা। তাই তিনি নয়া তত্ত্ব এনেছেন হিন্দু বিভাজনের। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।