Suvendu On Mamata Remarks Over BSF: 'ভোট ব্যঙ্কের স্বার্থে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আক্রমণ'। বিএসএফ ইস্যুতে মমতার মন্তব্যের পাল্টা এবার খোলা চিঠি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে তুলোধনা করেছেন। ঠিক তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিএসএফের পাশাপাশি কেন্দ্রের ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ, BSF রাজ্যে লোক, গুন্ডা ঢোকাচ্ছে। মমতার এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অনিয়মের কোনও প্রশ্নই নেই। সীমান্তে আসা-যাওয়া যেটাই হচ্ছে সবটাই আইন মেনে চলছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আসা-যাওয়া সবটাই নিয়মমাফিক হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সীমান্তে থাকা বাহিনী ও সেনার কাজ আইন রক্ষা করা।" এবার মমতার 'ভুল' শুধরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন, বিএসএফের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঠিক তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। ভুয়ো নথি ইস্যুতে রাজ্যের পুলিশের ভুমিকাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। সরাসরি মমতা সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেলেও কীভাবে তৈরি হয়ে যাচ্ছে তাদের বৈধ নথি? বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী সেনাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ জানান ভোটব্যাঙ্কের লোভে রাজ্যের শিল্প, সংস্কৃতিকে বিসর্জন দেবেন না'।
শুভেন্দু তাঁর খোলা চিঠিতে লিখেছেন, 'আমাদের দেশে ১৮ টি সীমান্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল রয়েছে। এই প্রথম কোন একজন মুখ্যমন্ত্রী কেবল ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে সেনাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। যতই চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন কেউ সেনার মনোবল ভাঙতে পারেনি। কিন্তু দেশের এক মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলে তা সেনার মনোবলকে দুর্বল করে'।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন বিএসএফ-এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন ইসলামপুর, সিতাই, চোপড়া এবং আরও অনেক জায়গা দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে BSF। মেয়েদের উপর অত্যাচার করছে তারা।" তৃণমূল বা রাজ্যের পুলিশ সীমান্ত পাহারা দেন না। সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব বিএসএফের,মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। রাজ্য সরকারের ভুমিকার কড়া সমালোচনা করে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্যের জমি জটের কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৬০০ কিলোমিটার এলাকায় এখনো ফেন্সিং দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা যায়নি'।