Suvendu Adhikari:ইতিমধ্যেই বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন সাড়া ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে। অবৈধ বেআইনি ভোটার চিহ্নিত করতেই নির্বাচন কমিশনের এই বিশেষ তৎপরতা। তবে বিরোধীদের দাবি এক্ষেত্রে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি কল পার্টি নাচছে। আর কয়েক মাস পরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এস আই আর করে ন্যায্য ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদতে ভোট ময়দানে প্রার্থী মাইলেজ নেওয়ার চেষ্টা গেরুয়া দলের, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিহারের মতো এবার পশ্চিমবঙ্গেও এস আই একটান বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে মারাত্মক একটি অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এরা যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি মালদা উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ নদিয়া উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি সপ্তাহে ৭০ হাজার ফ্রম ১৬ এপ্লিকেশন জমা করছে। পুরি থেকে পঁচিশ হাজার থার্ম সৃষ্টিনের সীমা ছাড়িয়ে এক ধাক্কায় সত্তর হাজার সাবজেক্টে যাওয়া পড়ার ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগের বলে মনে করেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এই ব্যাপারে এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে গড়ে ৭০,০০০-এরও বেশি ফর্ম-৬ আবেদন জমা পড়েছে, যা স্বাভাবিক ২০,০০০-২৫,০০০ থেকে অনেক বেশি। বিশেষ করে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়।"
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: BJP শাসিত রাজ্যে হেনস্থার মুখে বাঙালিরা, প্রতিবাদে আজ 'ভাষা আন্দোলনের' সূচনায় মমতা
তিনি আরও লিখেছেন, "এই বৃদ্ধি রাজ্যের প্রশাসন কর্তৃক জারি করা আবাসিক শংসাপত্রের প্রতিবেদনের সঙ্গে আমাদের ভোটার তালিকা কারচুপি করার লক্ষ্যে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের অনৈতিক এবং অবৈধ প্রচেষ্টা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates:আচমকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ল পুন্যার্থীদের ভিড়ে, উত্তর প্রদেশের মন্দিরে মর্মান্তিক মৃত্যু, হাহাকার!
শুভেন্দুর অধিকারী বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "আমি ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি যে, যদি পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের কার্যকলাপ পরিচালিত হয়, তাহলে ২৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বা তার পরে জারি করা কোনও আবাসিক শংসাপত্র নির্বাচনী তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) চলাকালীন গ্রহণ বা বিবেচনা করা না হয়। আমাদের গণতন্ত্রের অখণ্ডতা রক্ষা করতে হবে এবং ভোট ব্যাংক রাজনীতির স্বার্থে একে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মনে রাখতে হবে যে তাদের উপর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত এবং তাদের আনুগত্য দেশের প্রতি এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায়।"
আরও পড়ুন- Municipality politics: তৃণমূল পরিচালিত শতাব্দী প্রাচীন পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব, চেয়্যারম্যান অপসারণের জল্পনা তুঙ্গে