Suvendu Adhikari donates salary: কথা দিয়েছিলেন। দুদিনের মধ্যে সেই কথা রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে। তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এক অসহায় বন্যা-দুর্গত। শুভেন্দুর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে জানিয়েছিলেন, বানের জলে ভেঙে গিয়েছে তাঁর বাড়ি। আশ্রয়হীন গ্রামবাসীকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন শুভেন্দু। আশ্বাস দেন, তাঁর বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করবেন বিরোধী দলনেতা।
৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল সেই অসহায় ব্যক্তির কাছে। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশচন্দ্র ভুঁইয়া। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, আজ কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
টানা বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। গতকালই ভাইরাল হয়েছিল ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। শুক্রবার তেমনই পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তখন তাঁর কাছে দুঃখের কথা জানিয়ে কেঁদে ফেলেন গণেশ। তিনি জানান, বানের জলের তোড়ে উল্টে গিয়েছে তাঁর দোতলা বাড়ি।
আরও পড়ুন জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চরমে, ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে মমতা
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গণেশ এবং তাঁর পরিবার। তাঁর অভিযোগ, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানানো হয়েছিল। সেচ দফতরের ঠিকাদার মাত্র কয়েকটা বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত হয়নি। দুর্দশার কথা শুনে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথা মতো, রবিবার সকালে গণেশের কাছে পৌঁছে যান শুভেন্দুর প্রতিনিধিরা। তুলে দেন ৫ লক্ষ টাকার চেক। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের।
শুক্রবার শুভেন্দু জানান, 'মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পেরেছি করেছি।'