/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/19/mandirbajar-suvendu-convoy-attack-2025-10-19-11-45-48.jpg)
গতকালের হামলার ঘটনায় দুর্বার গতি শুভেন্দুর
রাজ্য নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ! দুর্বার গতি শুভেন্দুর। গতকালের হামলার ঘটনায় এবার বিরাট অ্যাকশন বিরোধী দলনেতা।
গতকাল কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক পুজো মন্ডপে যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিরোধী দলনেতাকে। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও পরিযায়ী ইস্যুতে এদিনের বিক্ষোভ বলেই দাবি। এবার গতকালের হামলার ঘটনায় বিরাট অ্যাকশন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
আরও পড়ুন- দীপাবলির দিনই ভারতকে চূড়ান্ত সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ট্রাম্পের হুঙ্কারে তোলপাড় বিশ্ব
এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, "গতকাল, অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন পুলিশ জেলার আওতাধীন এলাকায় আমার পূর্ব নির্ধারিত হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান কর্মসূচি তথা কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবে যোগ দিতে যাওয়ার সময়, একাধিক স্থানে দুষ্কৃতিকারীরা আমাকে আক্রমণ করে"।
বিস্তারিত সূচি আগে থেকে পুলিশকে জানানোর পরও কেন হামলা সেই প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু লেখেন, "আমার সফরের বিস্তারিত সূচি আগে থেকেই সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছিল, যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে। কিন্তু পুলিশ শুধুমাত্র সেই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং দুষ্কৃতীদের জমায়েতে সাহায্যও করেছে। গতকালের ঘটনা কোনো আকস্মিক গুন্ডামির ঘটনা নয়। এটি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক মরিয়া ষড়যন্ত্র, যেখানে তারা বেআইনি বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের উসকানি দিয়ে বিরোধী দলের উপর হামলা চালানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
এর আগে বিরোধী দলনেতার উপর হামলার ঘটনা হাইকোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু লিখেছেন, "মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট (WPA 1097/2021) অর্ডারের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে আমার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পূর্ববর্তী (১১.০৮.২০২১ ও ১৬.০৮.২০২১) তারিখের আদেশ অনুযায়ীও সুরক্ষা প্রদানের নির্দেশ ছিল, কিন্তু সেই নির্দেশগুলিকেও অমান্য করা হয়েছে।এই নিরাপত্তা ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায় পুলিশ প্রশাসনের, এবং এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমার আইনজীবী সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে একাধিক এফআইআর দায়ের করেছেন"। এর পাশাপাশি হামলার ঘটনায় কে বা কারা সরাসরি যুক্ত ছিল সেই সব নামও প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন- কালীপুজোর দিনে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে পরপর গুলি, চাঞ্চল্যকর কাণ্ডে এলাকায় তোলপাড়
উল্লেখ্য, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার কনভয়ে হামলার ঘটনার মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যেই মন্দিরবাজারে বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ওঠে 'জয় বাংলা' স্লোগান। 'আমাকে আজ রাস্তার উপর আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি বিজেপি করতে আসিনি। আমি ধর্ম পালন পালন করতে এসেছি। মায়ের দর্শন করতে এসেছি। বাধা দিচ্ছে কারা'? প্রশ্ন শুভেন্দুর। তিনি আরও বলেন, 'আজকে যদি আমার মতো, আমার সঙ্গে ২০ জন সিকিউরিটি থাকে, আমি বিরোধী দলনেতা। আমি চলে যাব। পুলিশ চলে যাবে। আপনারা কোথায় আছেন আজকে ? '
গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে এর আগে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছিলেন, ঘটনা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছেন, "আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আমাকে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমানরা বারংবার আক্রমণ করে, অন্তত সাতটি স্থানে আমাকে হামলার সম্মুখীন হতে হয়। বারবার আমার গাড়ি থামানোর চেষ্টা করা হয়, এবং লালপুর মাদ্রাসার সামনে সংঘটিত আক্রমণের ঘটনাও ঘটে। এই পরিকল্পিত হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্য রেখা গাজি, সেখানকার এসপি কোটেশ্বর রাও এর সহযোগীতায়। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে নয়, আমি স্রেফ একজন হিন্দু হিসেবে কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের নিকটবর্তী হওয়ায় তৃণমূলের মদতে এইসব অনুপ্রবেশকারীরা অবৈধ ভাবে এখানে বাস করছে। এরা আসলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং নির্বাচন কমিশনের “SIR” প্রক্রিয়া নিয়ে এরা আতঙ্কিত, তাই এরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এভাবেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছে। পরিস্থিতি এখন এমন যে পশ্চিমবঙ্গের একজন হিন্দু এই সব অনুপ্রবেশকারী মৌলবাদীদের দৌরাত্ম উপেক্ষা করে নিজের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বাধীনভাবে অংশ নিতেও পারবে না। আমাকে এভাবে ভয় দেখিয়ে আটকানো যাবে না। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় আমি আবার এই এলাকায় আসব"।