/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/21/e9jpzMj16LNTnM2xhaSf.jpg)
Tangra triple Death Case: ট্যাংরা কাণ্ডে খুনের তত্ত্বই জোরালো।
Tangra triple Death Case:ট্যাংরায় দে বাড়ির তিন মহিলাকে খুনই করা হয়েছে, অন্তত ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেই তথ্যই জোরালো হয়েছে। তবে খুনের মোটিভ নিয়ে ধন্দ এখনও কাটছেই না। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রসূন দে, প্রণয় দে ও তাঁদের পরিবারেরই নাবালক সদস্য। নাবালকের শারীরিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। তবে তার কথাবার্তায় একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ট্যাংরায় এই ঘটনার নেপথ্যে শুধুমাত্র আর্থিক কারণই দায়ী? নাকি অন্য কোনও কারণও রয়েছে? সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ট্যাংরা-কাণ্ডের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। বর্তমানে দে বাড়ির সদস্য প্রণয় দে বিপন্মুক্ত। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই এখনও ICU-তে রয়েছেন। আজই তাঁদের জেনারেল বেডে দেওযা হতে পারে। তবে এখনই তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। দে পরিবারের বিপুল দেনার চাপ ছিল, সেটা সহ্য না করতে পেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল? এই খুনে একজন নাকি একাধিক ব্যক্তি জড়িত? খুনের আগে আত্মহত্যার চেষ্টা পরিবারের ৬ জনেরই? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
তবে কিশোরের কথায় অসংলগ্নতা রয়েছে বলে মনে করছেন অদন্তকারীরা। ট্যাংরার দে বাড়ির দুই মহিলার হাতের শিরা কাটা ছিল নাবালিকার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তাঁদের কাউকে হাতের শিরা কেটে ও কাউকে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেই মিসিং লিংকের খোঁজ মিলবে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: দীর্ঘদিনের রীতিতে ছেদ, বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে 'মাতৃভাষা দিবস' পালন হল না
অন্যদিকে, ট্যাংরায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি নিয়েও রহস্য আরও গাঢ় হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গাড়ি থেকে ১২ টি চাবি মিলেছে। সেই চাবিগুলির মধ্যে একটি চাবি সেই দে বাড়ির গেটের, অন্য একটি চাবি বাড়ির গ্যারেজের। জানা গিয়েছে, সেদিন রাতে বাড়ির গেট বাইরে থেকে লক করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারেও বেশি।
গাড়ির ভিতরে একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ ছিল বলে সূত্রের খবর। গাড়ি ভিতর থেকে একটি নীল রঙের রক্তমাখা বোতামও উদ্ধার হয়েছে। এদিকে গাড়ির উচ্চ গতির জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা? নাকি গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দুর্ঘটনা? নাকি আত্মহত্যা করতেই দ্রুত গতিতে গাড়ি ছোটানো হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today:ঝেঁপে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস আজও, আবহাওয়ার উন্নতি কবে থেকে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি যে সংস্থার তৈরি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে গাড়িটির গুগল ম্যাপ ডিভাইসও পরীক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২টার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুই ভাই আর ওই কিশোর। কিন্তু ইএম বাইপাসের ধারে মেট্রোর পিলারে গাড়িটি ধাক্কা মারে ভোর ৩.১৫ নাগাদ। মাঝের এই আড়াই ঘন্টা তাঁরা কোথায় ছিলেন কিংবা কোথায় ঘোরাঘুরি করছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।