/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/04/o2XBvR6yJ1r0ICpu3kZs.jpg)
Tangra Triple Murder Case: ট্যাংরা-কণ্ডের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য।
Tangra Triple Murder Case: ট্যাংরা-কাণ্ডের তদন্তে রোমহর্ষক তথ্য এল তদন্তকারীদের হাতে। ইতিমধ্যেই প্রসূন দে'কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় প্রসূন জানিয়েছেন ঠিক কীভাবে তিনি তাঁর স্ত্রী, বউদি এবং কন্যাকে খুন করেছিলেন। তবে প্রসূনের এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দফায় দফায় জেরায় প্রসূন দে সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন তাদের। সংবাদমাধ্যম একটি সূত্রকে ঊদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রসূনের স্ত্রী রোমি তাঁদের কিশোরী কন্যার প চেপে ধরেছিলেন। তখনই প্রসূন কন্যার মুখে বালিশ চাপা দেয়। এরপর সে স্ত্রী রোমিকেও খুন করেছিলেন। রোমি প্রথমে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেছিলেন। তারপর প্রসূন রোমির হাত আর গলা কেটেছিলেন। চিৎকার যাতে বাইরে না পৌঁছোয় সেই কারণে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়েছিলেন তিনি। বৌদি সুদেষ্ণাকেও একইভাবে প্রসূন খুন করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
দফায় দফায় জেরায় প্রসূন তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন যে তিন মহিলাকে খুন করার পর সেই ঘরে গিয়েছিল দে বাড়ির কিশোর। তারপর ওই কিশোরকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পরে নিজেও ঘুমের ওষুধ খান এবং ভাই ও তাঁর কিশোর ছেলেকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর প্রত্যেকে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
সবমিলিয়ে ট্যাংরা-কাণ্ডের পরতে পরতে নতুন নতুন রহস্য উন্মোচন হচ্ছে। প্রসূন দে পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের কথা স্বীকার করলেও তদন্তকারীরা আরও একটু সময় নিতে চাইছেন। শিহরণ জাগানো এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আরও কোনও তথ্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কথা বলা হচ্ছে প্রসূনের ভাইয়ের সঙ্গেও। তবে দে বাড়ির কিশোরের বর্তমান ঠিকানা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁদের কোনও আত্মীয়ই কিশোরের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: ফের পরপর বন্ধ থাকবে মেট্রো, চরমে উঠতে পারে যাত্রী-দুর্ভোগ