Advertisment

Teacher's Day 2024: দুঃস্থদের লেখাপড়ায় অভূতপূর্ব উদ্যোগ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের! 'ষোলো আনা'র পাঠশালায় ভিড় বাড়ছে

Teacher's Day 2024: স্কুলে শিক্ষকতা করাকালীনই সংকল্পটা মনে মনে করে রেখেছিলেন। এরপর অবসর গ্রহণের পরেই আসে সেই সুযোগ। দুঃস্থ পরিবারের বাচ্চাদের লেখাপড়ার ভার নিয়েছেন এই ব্যক্তি। শিক্ষক দিবসে এমন এক শিক্ষককে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Teacher's Day 2024, Samiranprasad Chakraborty, শিক্ষক দিবস, সমীরণপ্রসাদ চক্রবর্তী

ষোলো আনার পাঠশালায় শিক্ষা দান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমীরণপ্রসাদ চক্রবর্তীর। ছবি: প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।

Teacher's Day 2024: ইচ্ছে থাকলেও শুধুমাত্র টাকার অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয় অনেকে। বিশেষ করে গরিব ঘরের অনেক ছেলেমেয়েই ইচ্ছা থাকলেও পড়াশোনার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার মুখে পড়েন। স্কুলে শিক্ষকতার সময়ে পড়ুয়াদের মুখ থেকেই এমন অনেক গল্প শুনেছেন সমীরণ প্রসাদ চক্রবর্তী। তখনই তিনি দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের জন্য কিছু একটা করবেন বলে সংকল্প নিয়ে ফেলেছিলেন। সেই মতো শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পরেই সমীরণবাবু নিজের বাড়িতেই খুলে বসেন 'ষোলো আনার' পাঠশালা। সেই পাঠশালাই এখন দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা লাভের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। 

Advertisment

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমীরণ প্রসাদ চক্রবর্তীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের কৃষ্ণদেবপুরের হালদারপাড়ায়। তিনি বাদলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি অবসর নিয়েছেন। তবুও শিক্ষাদানের ব্রত থেকে তিনি পিছু হটেননি। তাই শিক্ষক দিবসের দিনে সমীরণ স্যারকে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে যান তাঁর স্নেহভাজন ছাত্রছাত্রীরা। 

দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের তিনি নিজের বাড়িতেই পড়াচ্ছেন। বর্তমানে  সমীরণপ্রসাদ বাবুর 'ষোল আনার' পাঠশালায় পড়ুয়ার সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। পড়ুয়ারা সবাই গরিব ঘরের। তাদের মধ্যে তপশিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের ছেলেমেয়েরাও রয়েছে। এই পাঠশালাই এখন সমীরণপ্রসাদ বাবুর ধ্যানজ্ঞান।  'ষোল আনা' গুরুদক্ষিণার বিনিময়ে কয়েক দফায়  তিনি তাঁর পাঠশালায় প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের পড়ান। পাঠশালায় থাকা ভাঁড়েই গুরুদক্ষিণা জমা দেয় পড়ুয়ারা। অতি গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের বই খাতা, পেন না থাকা নিয়ে সমস্যায় পড়লে গুরুদক্ষিণা বাবদ জমা পড়া অর্থ দিয়ে তা কিনে দেন সমীরণপ্রসাদ বাবু। তাঁকে নিয়ে গর্বের অন্ত নেই এলাকাবাসীর । 

আরও পড়ুন- RG Kar Protest: আরজি-কর প্রতিবাদে চড়াও পুলিশ! বেধড়ক 'মার' আন্দোলনকারীদের, তুলকালাম-কাণ্ড বারাসতে

সমীরণ প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন,  "আমার পরিবারের বেশিরভাগ জনই শিক্ষক ছিলেন। বাবা,কাকা,কাকিমা,বড়দি সকলেই শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষা মানুষকে শুধু শিক্ষিতই করে তোলে না, চেতনাবোধও তৈরি করে। শিক্ষার প্রসার বৃদ্ধি হলে সমাজও উন্নত হয়। কিন্তু পরিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার জন্য গরিব ঘরের ছেলে মেয়েদের শিক্ষকের কাছে পড়তে না যেতে পারাটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের। তাই গরিব ঘরের পড়ুয়াদের সুশিক্ষিত করে মানুষের মত মানুষ তৈরি করার সংকল্প নিয়েই ষোল আনার পাঠশালা চালু করেছি।"

আরও পড়ুন- RG Kar Case: 'ঘরে মেয়ের দেহ শায়িত, টাকার অফার করে পুলিশ', মারাত্মক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার

Purba Bardhaman West Bengal Teachers Day
Advertisment