Teachers Day 2025: কীভাবে শুরু হল 'শিক্ষক দিবস', জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য!

Teachers Day: শুধু দেশই নয়। দেশের বাইরে বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রেও ছড়িয়ে আছেন ড. রাধাকৃষ্ণনের ছাত্ররা। বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও রাধাকৃষ্ণন ছিলেন সুপরিচিত নাম।

Teachers Day: শুধু দেশই নয়। দেশের বাইরে বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রেও ছড়িয়ে আছেন ড. রাধাকৃষ্ণনের ছাত্ররা। বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও রাধাকৃষ্ণন ছিলেন সুপরিচিত নাম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Teachers’ Day 2025

কীভাবে শুরু হল 'শিক্ষক দিবস', জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য!

Teachers Day 2025 : প্রতিবছর ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের (১৮৮৮-১৯৭৫) জন্মবার্ষিকীতে ভারত প্রতিবছর ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করে। বিংশ (২০) শতকে ভারতের সবচেয়ে স্বীকৃত এবং প্রভাবশালী চিন্তাবিদদের একজন, রাধাকৃষ্ণনের জীবন এবং কাজ হিন্দু ধর্মকে সংজ্ঞায়িত, রক্ষা এবং প্রচারের জন্য নিবেদিত ছিল। দর্শনের বৃত্তে তাঁকে ভারত ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতু নির্মাণকারী হিসেবে দেখা হয়। হিন্দুধর্ম সম্পর্কে পাশ্চাত্যে ধারণা তৈরির পিছনে তাঁর ভূমিকাকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

Advertisment

আরও পড়ুন- এগিয়ে রামকৃষ্ণ মিশন, 'শিক্ষক দিবস' উপলক্ষে ৭৩ শিক্ষককে 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার

রাধাকৃষ্ণন বিংশ (২০) শতকে অদ্বৈতবাদী অদ্বৈত বেদান্ত ঐতিহ্যের অগ্রগণ্য প্রবক্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তিনি আদি শঙ্করের দর্শনের আধুনিক সময়ের জন্য পুনর্ব্যাখ্যা করেছিলেন। এটি করতে গিয়ে, তিনি হিন্দুধর্মকে রক্ষা করেছিলেন। রাধাকৃষ্ণনের কথায়, 'অজ্ঞাত পশ্চিমের সমালোচনা'র জবাব তিনি দিয়েছিলেন।

Advertisment

১৯২০ সাল নাগাদ, রাধাকৃষ্ণান নিজেকে ভারতের সবচেয়ে  সম্মানিত শিক্ষাবিদদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ১৯২১ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাজা জর্জ পঞ্চম চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র  বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য এবং ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য ছিলেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত অক্সফোর্ড  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্টার্ন রিলিজিয়ন অ্যান্ড এথিক্সের স্প্যাল্ডিং  প্রফেসর ছিলেন তিনি। রাধাকৃষ্ণান ১৯৩১ সালে 'নাইট' উপাধি লাভ করেন।

রাধাকৃষ্ণন ছিলেন একজন জনপ্রিয় শিক্ষক। তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে গভীর ব্যক্তিগত বন্ধন গড়ে তুলেছিলেন। তিনি শিক্ষকতার পেশা সম্পর্কে চিন্তা করতেন। রাধাকৃষ্ণন বহুবার বলেছিলেন যে 'শিক্ষকদের মন দেশের সেরা হওয়া উচিত'।তিনি প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-৬২) এবং ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি (১৯৬২-৬৭) হন। ১৯৬২ সালে, তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, কিছু পুরোনো ছাত্র তাঁর জন্মদিন উদযাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। রাধাকৃষ্ণন ব্যক্তিগত উদযাপনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরিবর্তে তাঁর ছাত্রদেরকে  জন্মবার্ষিকীতে সারা দেশে শিক্ষকদের সম্মান জানাতে অনুরোধ করেছিলেন। এভাবেই ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়।

আরও পড়ুন-শিক্ষকের আকালে স্কুলে তালা পড়ার জোগাড় হয়! পড়ুয়াদের স্বার্থেই 'আপোষহীন সংগ্রাম' ছিয়াত্তরের 'তরুণের'

শিক্ষক দিবসের এই বিশেষ দিনে সমাজের সকল স্তরের শিক্ষকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, "শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাজ্যপাল সকল শিক্ষকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।এই দিনটি রাষ্ট্রনায়ক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মবার্ষিকীকে স্মরণ করে।শিক্ষক কেবল শিক্ষাদাতা নন; তাঁরা আলোকবর্তিকা, যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে গড়ে তোলেন এবং অনুপ্রাণিত করেন।শিক্ষকরা শৃঙ্খলা, সহমর্মিতা, দৃঢ় বিশ্বাস ও স্থিতিশীলতার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাঁরা সমাজের পথপ্রদর্শক এবং দেশের আলোকবর্তিকা।ভারতীয় সংস্কৃতিতে শিক্ষকদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা বিদ্যমান। আমাদের বিদ্যালয়ের গুরুজন, আমাদের শাস্ত্রসমূহ, প্রকৃতি, পরিবেশ, পরিবার—সবাই আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদের পথ আলোকিত করে। এক কৃতজ্ঞ জাতি শিক্ষকদের শক্তিশালী করে তোলার এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে দৃঢ় করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ শিক্ষার পরিবর্তনে শিক্ষকদের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ইতিবাচক শিক্ষণ-শেখন পরিবেশ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে।আজকের এই দিনে আমরা সকলেই আমাদের গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি"।

Teachers Day