Digha Jagannath Temple: উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘার জগন্নাথ ধামে দর্শনার্থীদের জনসমুদ্র! প্রভু জগন্নাথকে এক ঝলক দেখতে রাজ্যের বাইরে থেকেও মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন দিঘায়। দিঘার জগন্নাথ ধাম এখনও পর্যন্ত একমাস হয়নি সাধারণের জন্য খোলা হয়েছে। তারই মধ্যে প্রাণামী বাক্সে পড়ল প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে জগন্নাথ ধামের দায়িত্বে থাকা ইসকনের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মন্দির সূত্রে খবর, দিঘার জগন্নাথ ধামে একটি স্টেনলেস স্টিলের একটি প্রণামী বাক্স রয়েছে। সেই একটি বাক্সতেই জমা পড়েছে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির উদ্বোধনের পর মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ তারিখ প্রথম খোলা হয় বাক্স। তখন প্রণামী জমা পড়েছিল সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। এরপর ১৪ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার ফের খোলা হয় প্রণামী বক্স। সেখানে আরও ছয় লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। সবমিলিয়ে ১৪ দিনে মোট প্রণামী জমা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা। যেখানে ১০, ২০, ৫০, ১০০ টাকার নোটের পাশাপাশি জমা পড়েছে কয়েনও।
প্রণামী বাক্স খোলার সময় সেই কয়েন গুনতে হিমশিম খাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার প্রণামী অর্থের পরিমাণ গণনা করতে সময় লেগেছে প্রায় ৯ ঘণ্টা। প্রায় ১১ জন ইসকন সন্ন্যাসী এবং মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবক মিলে গণনা করেন মোট প্রণামী। টাকা গোনার সময় ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারিও। এছাড়াও ব্যাংক ও প্রশাসনের আধিকারিকের উপস্থিতিতে খোলা হয় প্রণামী বাক্স। এরপর আগামী মঙ্গলবার ফের খোলা হবে প্রণামী বাক্স। যেভাবে দিনের পর দিন মন্দিরে ভিড় বাড়ছে তাতে আগামী দিনে আরও দশটি স্টিলের প্রণামী বাক্স বসাবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে তার অর্ডারও হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানান, “প্রভুর দর্শনে রোজ হাজার হাজার মানুষ আসছেন। এত ভিড় হচ্ছে যে সকলে প্রণামী বাক্সের কাছে পৌঁছোতে পাচ্ছে না। তাতেও এই কয়েকদিনে প্রণামীর পরিমান ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।”
ইতিমধ্যে সাধারণ দর্শনার্থীদের জগন্নাথ দেবের প্রসাদের ব্যবস্থাও যাতে তাড়াতাড়ি করা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো প্যাড়া প্রসাদ তৈরির জন্য ইতিমধ্যে মায়াপুর ইসকন থেকে বেশ কয়েকজন কারিগরও এসে পৌঁছেছে দিঘাতে। তাদের দিয়ে তৈরি করানো হবে প্যাড়া। মন্দিরের সামনে রয়েছে ১২টি দিয়া স্তম্ভ। সেই স্তম্ভে সন্ধ্যার পর আরও জৌলুস বাড়াতে ধাতব বাতি লাগানোর কাজ শুরু করেছে হিডকো। ১২টি দিয়া স্তম্ভে ৫৬টি করে প্রদীপ থাকবে। তাই ১২টি দিয়া স্তম্ভের জন্য লাগানো হবে ৬৭২টি বাতি। যা মন্দিরের উজ্জ্বলতা বাড়াবে বলে মনে করছে মন্দির ট্রাস্টবোর্ড।