নজিরবিহীন কাণ্ড রাজ্য বিধানসভায়। গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল BJP-র চার বিধায়ককে। মার্শাল ডেকে বিজেপির চার বিধায়ককে টেনে-হিঁচড়ে বিধানসভা থেকে বের করা হয়। চূড়ান্ত উত্তেজনায় রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় অধিবেশন কক্ষে।
বৃহস্পতিবার একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির বিধায়করা। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রীর জবাব না শুনেই বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের এই আচরণের জন্যই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন।
সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই এই বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন- Kaliganj Bye-Election Live updates: কালীগঞ্জে বিরাট জয়ের পথে তৃণমূল? ১১ রাউন্ড শেষে কোথায় BJP ও বাম-কংগ্রেস?
শেষমেষ বিজেপির চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন এবং মনোজ ওরাওকে। মার্শালের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি বিধায়কদের। ধাক্কাধাক্কিতে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের চশমা পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিধানসভার কক্ষ থেকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে মার্শাল ডেকে বের করে দিতে দেখা যায় বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়কদের।
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: উন্নয়নের কাজের খতিয়ান দেবেন অভিষেক, সাংসদের 'নিঃশব্দ বিপ্লব' দারুণ চর্চায়!
এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় মিনিট ২০ ধরে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার কক্ষেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারপর ওয়াক আউট করে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে বাইরে চলে বিক্ষোভ।
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এদিন বলেন, "বিধানসভার ভিতরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর আগেও বিধানসভায় এই ঘটনা ঘটেছে। আব্দুল মান্নান, দেবলীনা হেমব্রমদের মেরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আজ একইভাবে আমাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। আমাদের রক্ত শেষ হয়ে গেলেও ওদের আমরা ছাড়ব না। আমার চশমা ভেঙে দিয়েছে।"
শুভেন্দু অধিকারী এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, "শঙ্কর ঘোষ মাটিয়ে পড়ে গিয়েছেন। আমাদের চার এমএলএকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হলে অধিবেশন মুলতুবি হয়, সাসপেন্ডেড বিধায়করা বেরিয়ে যান, এটাই রীতি। কিন্তু এনার (বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়) এত অহঙ্কার, অধিবেশন চালু রেখে ১০০ জন তৃণমূলের ক্যাডার যাদের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে ঢুকিয়েছে এখানে সব তৃণমূলের নাম করা ক্যাডার, এদের দিয়ে মিহির গোস্বামীকে টেনে বের করেছে। একাধিক বিধায়কের উপর আক্রমণ হয়েছে। আমি ঢুকলে আমাকেও বেরিয়ে যেতে বলেন অধ্যক্ষ।"
আরও পড়ুন- Kaliganj by election: গণনার মাঝেই কালীগঞ্জে 'হার স্বীকার', '২৬-এ বাংলা-জয়ের 'রুট' বললেন শুভেন্দু