/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/05/thackeray-brothers-reunite-after-20-years-2025-07-05-15-13-30.jpg)
দু'দশক পর ঐতিহাসিক মুহূর্ত!
Thackeray brothers reunite after 20 years: দু'দশক পর ঐতিহাসিক মঞ্চে একসঙ্গে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরে, মরাঠি স্বার্থে ঐক্যের বিরাট বার্তা।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর মুম্বইয়ে একই মঞ্চে একত্রিত হলেন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে। এদিন সভামঞ্চেই দুই ভাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন এবং রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে ঐক্যের বার্তা দেন। মহারাষ্ট্র সরকারের 'হিন্দি চাপিয়ে' দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করেই 'ঐক্যবদ্ধ' হলেন ঠাকরে পরিবার।মহারাষ্ট্র সরকারের তৃতীয় ভাষা হিসেবে 'হিন্দি' বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্যজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
৮ দিনে ৫টি দেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জেনে নিন কীভাবে ভারত 'গ্লোবাল সাউথ'-এর কণ্ঠস্বর হয়ে উঠছে?
রাজ ঠাকরের বার্তা
“আমার মহারাষ্ট্র, যেকোনো রাজনীতি কিংবা লড়াইয়ের চেয়েও বড়। আজ আমরা একসাথে হয়েছি, আজ আবার ২০ বছর পর এক সাথে এক মঞ্চে। যেটা বালাসাহেব পারেননি, সেটাই ফড়নবীশ করে দেখালেন – আমাদের একত্রিত করলেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি হিন্দির বিরুদ্ধে নই, কিন্তু কারও উপর ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
উদ্ধবও রাজের বক্তব্যে সহমত পোষণ করেন এবং একত্রিত হয়ে রাজ্যের স্বার্থে কাজ করার বার্তা দেন। উভয়ের উপস্থিতি মঞ্চে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আসন্ন মহারাষ্ট্র পুর নির্বাচনের আগে এদিনের এই সমাবেশকে বিরাট রাজনৈতিক বার্তা হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞমহল। শিবসেনা (উবিটি) ও এমএনএসের এই ঐক্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ভাষা, আত্মপরিচয় এবং রাজ্যের সম্মানের ইস্যুতে দুই দলের একসাথে আসা রাজনীতির নতুন সমীকরণ তৈরি করছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি শুধুই প্রতীকী ঐক্য নয়, বরং ভবিষ্যতের নির্বাচনী জোটের ইঙ্গিতও হতে পারে।
महाराष्ट्राने मनात जपलेला सुवर्णक्षण...! pic.twitter.com/kugbSPx0JU
— ShivSena - शिवसेना Uddhav Balasaheb Thackeray (@ShivSenaUBT_) July 5, 2025
'বালাসাহেব যা করতে পারেন নি, তাই করে দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ...'- রাজ ঠাকরে
আমার মহারাষ্ট্র যেকোনো রাজনীতির চেয়ে বড় - রাজ ঠাকরে
রাজ ঠাকরে তার ভাষণে বলেন, "আমি আমার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম যে আমার মহারাষ্ট্র যেকোনো রাজনীতি এবং লড়াইয়ের চেয়ে বড়। আজ, ২০ বছর পর, উদ্ধব এবং আমি একত্রিত হয়েছি। বালাসাহেব যা করতে পারেননি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ তা করে দেখিয়েছেন। আমাদের দুজনকে একত্রিত করেছেন তিনি"।
জনসাধারণের উপর ভাষা চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয় - রাজ ঠাকরে
রাজ ঠাকরে বলেন যে তিনি হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে নন, তবে জনগণের উপর কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "যখন মহারাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন এর প্রভাব পুরো দেশে দেখা যায়। কে কোন ভাষা শিখবে, এটি জনগণের অধিকার, এটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ক্ষমতার জোরে নেওয়া সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক চেতনার বিরুদ্ধে।" তিনি আরও বলেন, "যদি কেউ মহারাষ্ট্রের দিকে চোখ তোলে, তাহলে তাকে আমাদের মুখোমুখি হতে হবে, বিশ বছর পর আমরা একত্রিত হয়েছি। কাউকে জিজ্ঞাসা না করে কেবল ক্ষমতার ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি।" তিনি বলেন, “ওরা শুরুতে আমাদের উপর হিন্দি চাপিয়ে পরীক্ষা করছিল। আমরা প্রতিবাদ না করলে, একদিন মুম্বইকেও মহারাষ্ট্র থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র হত। মরাঠি ভাষা ও স্বার্থ নিয়ে কোনও আপস চলবে না।”
শমীকের অভিষেকের অনুষ্ঠানে কেন গরহাজির ছিলেন? উত্তরটা নিজেই জানালেন দিলীপ
উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “আজকের মঞ্চে রাজ আমাকে ‘মাননীয় উদ্ধব ঠাকরে’ বলে সম্বোধন করেছে। আজকের সবচেয়ে বড় কথা হল, আমরা একত্রিত হয়েছি এবং এই ঐক্য ভবিষ্যতেও থাকবে।”তিনি আরও বলেন –“ক্ষমতা আসবে যাবে, কিন্তু ঐক্য থাকাটাই আসল শক্তি। আমাদের একসঙ্গে থেকেই লড়াই চালাতে হবে। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের পাশাপাশি ওরা মরাঠিদের মধ্যেও ভাঙন ধরিয়েছে।”