সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর ফুল বাজার। মুখ্যমন্ত্ররীর নির্দেশ মত বুধবার সকালে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ফুলের বাজার চালু হয়। কিন্তু, আপত্তি জানান স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি ফুলের বাজার চালু হলে জমায়েত হবে- সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরতে পারে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাজার কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঠাকুরনগর ফুল বাজার বন্ধ থাকবে।
লকডাউনের মাঝেও বুধবার থেকে রাজ্যের সব ফুল বাজার খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'বুধবার থেকে ফুলচাষীদের ছাড় দেওয়া হবে, খোলা হবে ফুলবাজার। ফুলের গাড়িকেও ছাড়ে দেওয়া হবে। কৃষকবাজার, কিষাণমান্ডি চালু থাকবে।' সেমত এদিন সকালে ঠাকুরনগর ফুল বাজার খোলা হয়। বিক্রেতারাও ফুল নিয়ে এসেছিলেন। যা দেখেই আপত্তি শুরু করেন ঠাকুরনগরের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ঠাকুরনগরের একটা বৃহৎ অংশের মানুষ ফুল নিয়ে কলকাতায় বিক্রি করতে যায়। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তারা ফুল বিক্রি করে। সেখান থেকে কেউ সংক্রমিত হলে সেই সংক্রমণ ঠাকুরনগরে ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ফুলের বাজার বন্ধের দাবি জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন- ব্যাপক করোনা পরীক্ষার পথে কেন্দ্র, ভারতের ভবিতব্য ঠিক হবে চলতি সপ্তাহেই
এরপর ফুল বাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয় স্থানীয়দের। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেই দিন পর্যন্ত ঠাকরনগর ফুল বাজার বন্ধ থাকবে।
এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন বহু ফুল বিক্রেতারা। সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেখেই বিক্রির জন্য ফুল কিনেছিলেন তাঁরা। এমনিতেই গত দু'সপ্তাহ ধরে সব বন্ধ। আয়-উপায় নেই। জমানো টাকায় মাল তুলেছিলেন। এদিন ফের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহাজনের টাকা শোধ করাই তাঁদের পক্ষে অসুবিধার হবে বলে জানান তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন