বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঢিল ছোড়া নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ-পাল্টা বক্তব্যের পর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিনি বিডিও অফিসে ঢিল ছোড়ার নিদান দিলেন। একজন সাংসদের এমন বক্তব্যের জন্য গ্রেফতার দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে জেলায় জেলায়। কোথাও কোথাও প্রাসাদোপম বাড়ির মালিকের নামও রয়েছে এই তালিকায়। অথচ অনেক ক্ষেত্রে চালচুলোহীন গরীব মানুষরা ঠাঁই পায়নি আবাস যোজনার তালিকায়। গ্রামপঞ্চায়েতে বা দলীয় পদে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক স্থানীয় নেতৃত্ব সেই তালিকা থেকে নিজেদের নাম কাটাতে আবেদনও করেছেন। এদিন রাজ্যপালের কাছে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঢিল ছোড়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'উপযুক্ত জায়গায় ঢিল ছুড়ুক। বন্দে ভারতে ঢিল না ছুড়ে যেখানে ঢিল ছোড়ার সেখানে ছুড়ুক। ঘর পাচ্ছেন না বিডিও অফিসে ঢিল মারুন।' বঙ্গ বিজেপি সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের সামগ্রিক দুর্নীতি নিয়ে তাঁরা এবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সুকান্ত বলেন, 'নামের তালিকা তৈরি করতে বলেছি, প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব। পুরুলিয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। প্রতি জেলাতে দুর্নীতির আভাস আমরা পাচ্ছি। আমরা তা নিয়ে আগামী দিনে কোর্টে যাব।'
আরও পড়ুন- বন্দে ভারতে পাথর হামলার তদন্তে বিজেপিতে দ্বিমত, রাজ্য পুলিশেই আস্থা গেরুয়া সাংসদের!
এদিকে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিডিও অফিসে ঢিল ছোড়ার জন্য বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন দলের সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সাংসদ হয়ে সংবিধান ও আইন রক্ষার শপথ নিয়ে এরকম আইন ভাঙার কথা বলতে পারেন, পাথরবাজির কথা বলতে পারেন, সরকারি কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে জাহাদ ঘোষণা শুধু বেআইনি নয়, এইরকম সংসদদের গ্রেফতার করে গারদের পিছনে রাখা উচিত। কারণ, এঁরা যাতে সমাজটা কলুষিত না করতে পারে। এইরকম অধ্যাপক ও সাংসদ সামাজটাকে কলঙ্কিত করছেন।' বন্দে ভারতে ঢিল ছোড়ার ঘটনার পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এই তৃণমূল নেতা বলেন, 'বিজেপি নেতাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে ঢিল ছোড়া তাঁরাই সংগঠিত করছেন'।