Tigress Zeenat: ঘুমপাড়ানি গুলির ঘোর কেটেছে জিনাতের (Tigress Zeenat)। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে বাঘিনী। আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) হাসপাতালে তার শারীরিক পরিস্থিতির সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। পশু চিকিৎসক এবং তার কিপার-সহ সবাই যত্নে রেখেছেন জিনাতকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য বনপাল দেবল রায়-সহ বনদফতরের অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা সোমবার তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন।
সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জিনাতের ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, 'জিনাত এখন ভাল আছে। বনদফতর তার খেয়াল রাখছে।' এদিকে, বাঘিনী খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের গোঁসাইডি গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকায়।
সোমবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন ওড়িশার সিমলিপাল টাউগার রিজার্ভের এক আধিকারিক। তিনিও দেখে যান জিনাতকে। প্রসঙ্গত, সিমলিপাল থেকেই এই বাঘিনী ঝাড়খণ্ড-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া হয়ে চলে আসে বাঁকুড়ায়।
বনকর্মীরা তাকে ধরতে বারবার ফাঁদ পাতলেও ধরা দেয়নি বাঘিনীটি। এদিকে, জিনাতকে কাবু করতে সুন্দরবন (Sundarbans) থেকে ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়েছিল। পুরুলিয়ার রাইকার জঙ্গলে বাঘ ধরতে জাল পাতা হয়। সেই জালের নিচ থেকে পালিয়ে গিয়ে জিনাত ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ায়। তার গলায় রেডিও কলার পরানো থাকার কারণে প্রতিনিয়ত তার গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারছিলেন বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন আলিপুরের পশু হাসপাতালে জিনাত, শেষমেশ কোথায় ঠাঁই হবে বাঘিনীর?
রাজ্যের এক শীর্ষ বনকর্তা জানিয়েছেন, ঘুমপাড়ানি গুলি লাগার পরে শরীরে জলাভাব দেখা যায়। জিনাতেরও তেমনটাই হয়েছে। তবে তার চিকিৎসা চলছে। তিনি বলেন, 'এই বাঘিনীর বয়স কম। তাই ঘুমপাড়ানি গুলির রেশ দ্রুত কাটিয়ে উঠছে। সমস্যা কিছু নেই।' তবে এ দিন জিনাতকে খাবার দেওয়া হলেও সে দাঁতে কিছুই কাটেনি। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ঘুমপাড়ানি গুলি লাগার পরে খাবারে অনীহা থাকা স্বাভাবিক। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তা ছাড়া, গত এক সপ্তাহে অনেকগুলি ছাগল খেয়েছ বাঘিনী। পেট ভরা থাকলে বন্যপ্রাণীরা বিশেষ খেতে চায় না।
জিনাতকে উদ্ধারের পর তার একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। এরপর বাঁকুড়া থেকে জিনাতকে নিয়ে আসা হয় আলিপুরের পশু চিড়িয়াখানায়। জানা গিয়েছে, আপাতত দিন কয়েক এই পশু হাসপাতালেই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবে ওড়িশার বাঘিনী। রাজ্যের বনদফতরের তরফে ওড়িশার বনদফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। জিনাত একটু সুস্থ হলেই তাকে ফের ওড়িশায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন শেষ হল 'বাঘ-বন্দী' খেলা, জালে জিনাত, হাঁফ ছাড়ল বন কর্মীরা, শুভেচ্ছা মমতার