ফের শিরোনামে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট। পঞ্চায়েত প্রধান গ্রেফতার হওয়ার পর এবার তাঁরই ঘনিষ্ঠ উপপ্রধানকেও দুর্নীতির অভিযোগে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার দরল তৃণমূল। দলের সবস্তরের পদ থেকেই কোলাঘাটের শান্তিপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা রায় সামন্তকে বহিষ্কার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
মাস কয়েক পরেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দলে শুদ্ধিকরণের সংকল্প নিয়েছে তৃণমূল। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছেন। গত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন জেলায় সভা করতে গিয়েছেন অভিষেক। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পুরসভার চেয়ারম্যানদের প্রকাশ্যেই পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়, বারবার এ বার্তাই দিতে চাইছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- মমতাকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগানে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মোদী? বিরক্ত বিজেপির শীর্ষ নেতারাও?
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের শান্তিপুর ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সেলিম আলি। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবহীন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির 'মালিক' সেলিম। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ পৌঁছেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র কঠিন পদক্ষেপ করেছেন অভিষেক। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত প্রধানের পদ ছাড়তে তিনি নির্দেশ দেন সেলিমকে। এরপরেই দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে ওই তৃণমূল নেতাকে।
আরও পড়ুন- বছর শুরুর প্রথম দিন, উৎসবমুখর রঙিন কলকাতা, বাঁধভাঙা আনন্দে বর্ষবরণ
ধৃত সেলিমেরই ঘনিষ্ঠ কৃষ্ণা রায় সামন্ত। তিনি কোলাঘাট ১ নং শান্তিপুর পঞ্চায়েতর উপপ্রধান। বোল্ডার দুর্নীতিতে তাঁরও নাম জড়িয়েছে। এবার কৃষ্ণাদেবীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার কৃষ্ণা রায় সামন্তের বিরুদ্ধেও কঠিন পদক্ষেপ করতে পারে পুলিশ।