TMC Leader Murder Case: এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্যকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বীরভূমের শান্তিনিকেতনে (Santiniketan)। ঘটনার জেরে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দায়ী বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও খুনের নেপথ্যে 'রাজনীতি' নেই বলেই পাল্টা জবাব স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
এবার বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় খুন হলেন তৃণমূল নেতা সমীর থান্ডার। নিহত তৃণমূল নেতার বাড়ি কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের পারুলডাঙা গ্রামে। ওই পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সমীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পঞ্চায়েতের একটি বৈঠকের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সমীর। বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার সময় উত্তর নারায়ণপুর এলাকায় তাঁর পথ ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপরেই লাঠি, বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু হয় সমীরকে। মারধরের পর রাস্তার পাশের নর্দমার মধ্যে তাঁকে ফেলে দিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারাই গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার।
আরও পড়ুন- Hilsa: ইলিশপ্রেমীরা আহ্লাদে আটখানা হবেনই! ভাইফোঁটার পরেই মাছের দাম কোথায় নামতে পারে জানেন?
এদিকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের এমন নির্মম পরিণতিতে নতুন করে বীরভূমের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই খুনের পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠিকোন্দল দায়ী বলে সোচ্চার হয়েছে BJP। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচজনকে আটক করেছে। আটকদের দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) জেল থেকে বীরভূমে ফেরার পর জেলা তৃণমূলে খানিকটা দ্বন্দ্বের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কাজল শেখের (Kajal Sheikh) অনুগামীদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের দূরত্ব এখন যেন বেশি করে চোখে পড়ছে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বীরভূমে দলের নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন কেষ্ট। যদিও এখনও পর্যন্ত এক মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে দেখা যায়নি। বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।