Kajal Sheikh: “দুর্গাপূজা আগেও ছিল, কিন্তু সর্বজনীন ছিল না। দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। নানুরের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অষ্টম মণ্ডল বলেন, “হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি কাজল শেখের কাছে আমাদের শিখতে হবে না। উনি হিন্দু সনাতনী ধর্মের বিষয়ে কতটুকু জানেন? উনি মা দুর্গাকে নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।
একই দিনে তৃণমূলের তিনটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান হয় বীরভূমে। দুটিতে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল থাকলেও নানুরে ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস্য তথা সিউড়ি বিধান সভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, বীরভূম যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা মহিলা সভানেত্রী সাহারা মণ্ডল এবং নানুরের নেতা-কর্মী বৃন্দ।
শনিবার বীরভূমে তিনটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। ময়ূরেশ্বর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের সভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ।
আরও পড়ুন 'এতদিন কোথায় ছিলেন?', শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ, কালো পতাকা দেখালেন বন্যাদুর্গতরা
অন্যদিকে নানুরে সভাধিপতি কাজল শেখের সভায় কাজল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং দলীয় নেতৃত্ব। কাজলের সভায় ডাক না পাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। এদিনের দুটি সভাতেই এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ। অনুব্রত বলেন, “দুটি সভা করে নানুরে পৌঁছনো সম্ভব নয়, তাই বিকাশ রায় চৌধুরীকে পাঠিয়েছি। সাংসদ অসিত মালও গিয়েছেন। আমরা এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে যাব”।
আরও পড়ুন জমজমাট লক্ষ্মীপুজোর কার্নিভাল! সাড়াজাগানো রঙিন উৎসবে মাতোয়ারা বাংলার এই প্রান্ত
অনেকটা একই বক্তব্য কাজলের। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বীরভূম জেলায় একটাই দল রয়েছে সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটাই গ্রুপ সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রুপ। একটাই আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার নির্দেশে আমরা সকলে চলছি। তাঁরাই আমাকে সভাধিপতি করেছেন। তাঁদের নির্দেশেই আমি বীরভূমকে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি”।
দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে কাজল বলেন, “কোভিডের প্রাদুর্ভাবের সময় ক্লাবগুলোর হাতে পয়সা ছিল না। সামর্থ্য ছিল না পুজো করার। সেই সময় আর্থিক অনুদানের কথা ভাবেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। এবছর সারা বীরভূমে ২.২৬০টি দুর্গাপুজো হয়েছে। পঁচাশি হাজার টাকা করে অনুদান দিলে চব্বিশ কোটি অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নানুরে শতাধিক দুর্গাপূজা হয়েছে। সেখানেও এক কোটির বেশি অনুদান দিয়েছেন”।
Kajal Sheikh: 'দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়', কাজলের মন্তব্যে বিতর্ক, পাল্টা বিজেপির
Kajal Sheikh TMC: ''দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। নানুরের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
Follow Us
Kajal Sheikh: “দুর্গাপূজা আগেও ছিল, কিন্তু সর্বজনীন ছিল না। দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। নানুরের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অষ্টম মণ্ডল বলেন, “হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি কাজল শেখের কাছে আমাদের শিখতে হবে না। উনি হিন্দু সনাতনী ধর্মের বিষয়ে কতটুকু জানেন? উনি মা দুর্গাকে নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।
একই দিনে তৃণমূলের তিনটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান হয় বীরভূমে। দুটিতে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল থাকলেও নানুরে ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস্য তথা সিউড়ি বিধান সভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, বীরভূম যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা মহিলা সভানেত্রী সাহারা মণ্ডল এবং নানুরের নেতা-কর্মী বৃন্দ।
শনিবার বীরভূমে তিনটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। ময়ূরেশ্বর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের সভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ।
আরও পড়ুন 'এতদিন কোথায় ছিলেন?', শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ, কালো পতাকা দেখালেন বন্যাদুর্গতরা
অন্যদিকে নানুরে সভাধিপতি কাজল শেখের সভায় কাজল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং দলীয় নেতৃত্ব। কাজলের সভায় ডাক না পাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। এদিনের দুটি সভাতেই এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ। অনুব্রত বলেন, “দুটি সভা করে নানুরে পৌঁছনো সম্ভব নয়, তাই বিকাশ রায় চৌধুরীকে পাঠিয়েছি। সাংসদ অসিত মালও গিয়েছেন। আমরা এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে যাব”।
আরও পড়ুন জমজমাট লক্ষ্মীপুজোর কার্নিভাল! সাড়াজাগানো রঙিন উৎসবে মাতোয়ারা বাংলার এই প্রান্ত
অনেকটা একই বক্তব্য কাজলের। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বীরভূম জেলায় একটাই দল রয়েছে সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটাই গ্রুপ সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রুপ। একটাই আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার নির্দেশে আমরা সকলে চলছি। তাঁরাই আমাকে সভাধিপতি করেছেন। তাঁদের নির্দেশেই আমি বীরভূমকে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি”।
দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে কাজল বলেন, “কোভিডের প্রাদুর্ভাবের সময় ক্লাবগুলোর হাতে পয়সা ছিল না। সামর্থ্য ছিল না পুজো করার। সেই সময় আর্থিক অনুদানের কথা ভাবেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। এবছর সারা বীরভূমে ২.২৬০টি দুর্গাপুজো হয়েছে। পঁচাশি হাজার টাকা করে অনুদান দিলে চব্বিশ কোটি অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নানুরে শতাধিক দুর্গাপূজা হয়েছে। সেখানেও এক কোটির বেশি অনুদান দিয়েছেন”।