Malda Tmc Leader Murder: ইংরেজবাজারের লক্ষীপুর এলাকায় অনুষ্ঠান বাড়িতে খুন হওয়া মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। রবিবার দুপুরে মানিকচক থানার গোপালপুর এলাকার মৃত ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখান থেকেই বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জেলার নেতাদের হুঁশিয়ারি বলেছেন, 'মানিকচকের তৃণমূল কর্মী আবুল কালাম আজাদ (৩৬) খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের পাশে যাতে দলের কেউ না থাকে। কারণ এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মাইনুল শেখ ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের পঞ্চায়েত সদস্য। তাই অভিযুক্তদের পাশে যদি কেউ দাঁড়ায় তাহলে বিধায়ক নিজেই বিরোধিতায় নামবে বলেও সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিন মৃতের বাবা,মা, স্ত্রী সহ অন্যান্যদের প্রতি সমবেদনা জানান মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।এমনকি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানান বিধায়ক। এদিকে মৃত ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন ,'আবুল কালাম দলের একজন সক্রিয় কর্মী তো বটেই, স্থানীয় অঞ্চল কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন। গোটা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দলের সাংগঠনিক বৃদ্ধিও সে অনেকটাই করেছে। অথচ তাকে নৃশংসভাবে খুন করলো দুষ্কৃতীরা'।
এই ঘটনায় ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তার আরও তিন সাগরেদ গ্রেপ্তার হয়েছে । এই ধরনের অভিযুক্তদের কোনরকম ভাবেই দলে জায়গা দেওয়া হবে না। যদি পরবর্তীতে এরকম ধরনের অপরাধীরা দলে সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার চেষ্টা করে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের পাশে দলের কেউ যাতে না দাড়ায় সেই অনুরোধও জানিয়েছি।
পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ মহিলাঘঠিত কারণেই খুন হতে হয়েছে আবুল কালাম আজাদকে। মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে ধৃত মাইনুল শেখের ছেলের বিবাহিত সম্পর্ক ছিল। আর সেই বিষয়কে কেন্দ্র করেই এই গোলমাল এবং খুনের ঘটনাটি ঘটে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চারজনকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।