Birbhum TMC: আবারও চর্চায় বীরভূমের রাজনীতি। অনুব্রত মণ্ডল জেলায় ফিরতেই ধীরে ধীরে কোণঠাসা হতে শুরু করে দিয়েছে কাজল শেখের অনুগামীরা। এবার কাজল শেখের সঙ্গে বসে চা খাওয়ার খেসারত দিতে হল তৃণমূল নেতাকে। বুথ সভাপতির পদ খোয়ালেন সিউড়ির ভুরকুনা এলাকার তৃণমূল নেতা খয়রাত মোল্লা।
একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জেলা পরিষদ সভাপতি কাজল শেখের পাশে বসে চা খেয়েছিলেন তিনি। তাতেই নাকি অনুব্রত মণ্ডলের রোষালনে পড়ে যান সিউড়ির ভুরকুনা এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি খয়রাত মোল্লা। অনন্ত জল্পনা ছড়িয়েছে এমনই। পরের দিনেই ওই তৃণমূল নেতা জানতে পারেন আর দলের বুথ সভাপতির পদে তিনি নেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূম জেলা তৃণমূলে জোরদার জল্পনা ছড়িয়েছে। আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজল শেখের দ্বৈরথ।
উল্লেখ্য সিউড়ির ভুরকুনা গ্রামে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদ সভাধিপতি কাজল শেখ। সেই কালীপুজোর অনুষ্ঠানে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি খয়রাত মোল্লাও। ওই অনুষ্ঠানে কাজল শেখের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। সেই অনুষ্ঠানে কাজল শেখের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকেও। কাজল শেখ গেলেও সেখানে যাননি বিকাশ রায়চৌধুরী।
আরও পড়ুন- Travel: ছুঁয়ে দেখুন ইতিহাস! বেড়ানোর ভরা মরশুমে বাংলার অপরূপ এপ্রান্তে ঢুঁ মারুন
কালীপুজোর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি খয়রাত মোল্লার সঙ্গে জেলা পরিষদ সভাধিপতি কাজল শেখের বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তা হয়। কাজলের পাশে বসে চা পান করতে দেখা যায় খয়রাতকে। ঠিক তার পরের দিনই বুথ সভাপতি পদ খোওয়াতে হয় খয়রাত মোল্লাকে। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে কি কাজলের সঙ্গে সখ্যতার মাশুল গুণলেন খয়রাত। তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে? প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- Hilsa: ইলিশপ্রেমীরা আহ্লাদে আটখানা হবেনই! ভাইফোঁটার পরেই মাছের দাম কোথায় নামতে পারে জানেন?
এদিকে খয়রাত মোল্লাকে দলের বুথ সভাপতির পদ থেকে সরানো নিয়ে মুখ খুলেছেন কাজল শেখ নিজেও। তাঁর কথায়, "খয়রাত ভালো সংগঠক। কোনও আলোচনা ছাড়াই তাঁকে কেন পদ থেকে সরানো হলো সেটা জানতে চাইব কোর কমিটির বৈঠকে। "