Trinamool leaders fall ill after arrest, judge postpones verdict: সোমবার আদালতের রায়ে হেফাজতে নেওয়া বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সহ বাকি ১৩ জনের রায় ঘোষণা মঙ্গলবার স্থগিত রাখলেন ফার্স্ট ট্রাকে সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। বিচারক বর্ধমান জেলের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন চারজন 'অসুস্থ'-সহ অভিযুক্ত ১৩ জনকে হয় সশরীরে আদালতে উপস্থিত করতে হবে অথবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলানোর বন্দোবস্ত করতে হবে।
বিচারকের নির্দেশে পুলিশ গ্রেফতার করতেই সোমবারই হাসপাতালে ভর্তি হন কাকলী তা গুপ্ত, মানস ভট্টাচার্য, শেখ জামাল, কার্তিক বাগ। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই চার তৃণমূল নেতা-নেত্রী অসুস্থ বলে দাবি তাঁদের। এদের মধ্যে কাকলি তা গুপ্ত বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার সরকারি পক্ষের আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে চারজন শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত তাদের আগামীকাল সশরীরে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির করার জন্য বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে সংশোধনাগারের সুপার এই ব্যবস্থা নেবেন। তারপরই আগামিকাল চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।"
সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করিল আদালত। তবে গতকাল আদালত থেকে সংশোধনাগারের পথে নিয়ে যাওয়ার সময়েই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলনেত্রী কাকলি তা, মানস ভট্টাচার্য, শেখ জামাল ও কার্তিক বাগ। তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে কাকলী তা গুপ্তকে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার কাকলী তা গুপ্তকেই দেখতে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক। 'মন্ত্রীমশাই' আদালতেও গিয়েছিলেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা ও কর্মী। চারজনকে বাদ দিয়ে বাকি ৯ জনকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন- TMC Inner Conflict: বিরাট খবর! আদালতের নজিরবিহীন রায়,পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের তাবড় নেতারা
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে পুলিশ তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পুরানো একটি মামলায় নাম জড়ানো বর্ধমানের তাবড় তৃণমূল নেতা নেত্রীদের গ্রেফতার করে। সোমবার বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্রাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলী তা গুপ্ত এবং যুব নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য সহ ১৩ জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন পুলিশকে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'খড়গপুরে ঠিকই করেছেন দিলীপ ঘোষ', BJP নেতার প্রশংসায় তৃণমূলের হুমায়ুন