/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/28/tmc-mla-jibankrishna-saha-aunt-maya-saha-appears-before-ed-in-teacher-recruitment-scam-2025-08-28-14-40-40.jpg)
দলীয় কাউন্সিলর মায়া সাহা
Teacher Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন সদ্য গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি তথা দলীয় কাউন্সিলর মায়া সাহা। এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি হাজিরা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে। সাঁইথিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া সাহা এদিন জানিয়েছেন, তাঁকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও সম্পত্তির কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট রায়, ৭ দিনের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
গত সোমবার মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সাঁইথিয়ার মায়া সাহার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি এদিন কলকাতায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইডি সূত্রে খবর, বিধায়ক জীবন সাহার সঙ্গে মায়া সাহার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এ প্রসঙ্গে পিসি-ভাইপোকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। বিধায়কের বাবা বিশ্বনাথ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ছেলের সঙ্গে মায়া সাহার আর্থিক সম্পর্ক ছিল এবং তাঁরা নিয়োগ দুর্নীতির লেনদেনে যুক্ত। যদিও মায়া সাহার দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইডির তদন্তে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, ডিজিটাল ডিভাইস এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় অভিযুক্ত বিধায়ক শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেছেন। এই টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও স্ত্রীর নামে জমা হয়েছে।
আরও পড়ুন-২০২৬-এ কত আসন পাবে BJP? TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে তোলপাড় ফেলা ভবিষ্যদ্বাণী অভিষেকের
ইডির সর্বশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, একাধিক প্রার্থী সরাসরি টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রলোভনে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে মোটা টাকা দিয়েছিলেন। ফলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান তদন্তকারীদের।