TMC-Meghalaya: উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ের রাজনীতিতে বিরাট উত্থান পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের। মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন তৃণমূলের মুকুল সাংমা।
৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভায় তৃণমূলের পাঁচজন বিধায়ক রয়েছেন। এর আগেও অধ্যক্ষের কাছে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দাবি করেছিল তৃণমূল। ২০২৩-এর মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল পাঁচটি করে আসন পেয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের তিন বিধায়ক মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপিতে যোগ দেন।
পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের আরও এক বিধায়ক লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জিতে গিয়ে সাংসদ হয়ে যান। সেই কারণেই মেঘালয় বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যাও কমে একে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপরেই কংগ্রেসের এক সদস্যকে নিয়ে তৃণমূল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দাবি করে। সেই মতো অধ্যক্ষ মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি দেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলকে। মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
আরও পড়ুন- মেট্রো যাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন! পাতালপথে যাত্রা জমে ক্ষীর! ফাটাফাটি উদ্যোগ চর্চায়!
স্বভাবতই উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি মেলায় উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘালয়ে দলীয় নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা নিযুক্ত হওয়ার জন্য মুকুল সাংমাকে অভিনন্দন। রাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে তাঁর নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতা এবং জনজীবনের গভীর উপলব্ধির সঙ্গে আমি নিশ্চিত যে মেঘালয়ের জনগণ এখন এমন একটি কন্ঠ পাবেন যেটা তাঁরা বিশ্বাস করতে পারবেন এবং তার ওপর নির্ভর করতে পারবেন। যা রাজ্যের গৌরব এবং গর্ব পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।"
আরও পড়ুন- দুপুর গড়ালেই ম্যাজিকের মতো বদল আবহাওয়ায়, কাল-পরশু মারকাটারি বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?