জেলমুক্তির পর প্রথমবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেলেন আইএসফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। হুডখোলা গাড়িতে চেপে ভাঙড়ে ঘুরলেন নওশাদ। ফুলে সাজানো গাড়িতে বিধায়ককে নিয়ে যেন আবেগে ভাসলেন অগণিত আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। 'পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ে শূন্য হবে শাসক, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলেও ঠেকাতে পারবেন না।' রবিবাসরীয় ভাঙড়ে খানিকটা এমনই হুংকারে ফের রাজ্য রাজনীতির আঙিনা তপ্ত করলেন নওশাদ।
বেশ কিছুদিন জেলে থাকার পর দিন কয়েক আগেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। জেলমুক্তির পর রবিবারই প্রথম নিজের বিধানসভা কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে পা রাখেন নওশাদ। হুডখোলা গাড়িতে চেপে বিধায়ককে নিয়ে এদিন ভাঙড় ঘুরিয়েছেন আইএসএফ নেতৃত্ব। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ছোট ভাই নওশাদ।
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের বদলিতেও বিশাল ‘জালিয়াতি’! শান্তনুর ‘লুঠের’ ধরন শুনে ভিরমি খাচ্ছে ED
আসন্ন পঞ্চায়ত নির্বাচনে ভাঙড়ে তৃণমূলের ভরাডুবি হবে বলে মনে করেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর কথায়, 'পঞ্চায়েতে এবারেও যদি মানুষ ওদেরই চান, তাহলে পরাজয় মেনে নেব। তবে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক শূন্য হয়ে যাবে। আমি চাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা এসে এখানে দায়িত্ব নিক। আবাস যোজনার দুর্নীতি-সহ যে যে প্রকল্পে ওরা কাটমানি খেয়েছে, গণতান্ত্রিক পথেই এর প্রতিবাদ করবেন মানুষ।'
আরও পড়ুন- ফের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি, ভাঙল জানলার কাচ
উল্লেখ্য, এই ভাঙড়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী খোদ নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়িতেও হামলা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার ধর্মতলায় বিক্ষোভ সভা করেন নওশাদ। তবে সেই বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল অশান্তি হয়। পুলিশ বিক্ষোভ তুলতে গেলে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। সেই ঘটনাতেই পুলিশ নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা জেলে ছিলেন। দিন কয়েক আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নওশাদ-সহ বাকিরা।