/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/07/tmc-workers-arrested-burdwan-2025-09-07-08-27-47.jpg)
মহিলার ভয়ঙ্কর অভিযোগে বিরাট গ্রেফতারি
তৃণমূল কার্যালয় লাগোয়া ঘরে দিনের পর দিন মহিলাকে শারীরিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ তৃণমূলেরই 'ডাকাবুকো' নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। এইঘটনার জেরে রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় লাগোয়া ঘরে দিনের পর দিন ধরে এক মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হল তিন তৃণমূল কর্মী। ধৃতরা হল আলি দফাদার, রকি দফাদার ও সোনা দফাদার। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বর্ধমান থানার পুলিশ শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের এখন শ্রীগরে ঠাঁই হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূলকে চড়া সুরে বিঁধেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- 'দাগি' প্রার্থীদের নিয়েই রবিবারের পরীক্ষা! রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়, 'বোমা ফাটালেন' শুভেন্দু
নির্যাতিতা মহিলা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে সরব হন। সেখানেই তিনি তুলে ধরলেন তাঁর উপর হয়ে চলা নির্যাতনের করুণ কাহিনী। রাজ্যের ও দেশের মন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছেও তিনি তাঁর উপর হয়ে চলা নির্যাতনের কবল থেকে মুক্তির আবেদন জানান। এই পোস্টের দু’দিন আগে সামাজিক মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা তার পোস্টে লিখে ছিলেন , “আমি আজকে সবারই কাছে খারাপ। জানি না আর কতদিন লড়াই করব ঠাকুর। আমাকে শক্তি দাও।”
খোদ বর্ধমান শহরের সম্ভ্রান্ত পাড়ার এক মহিলার এমন আকুতি মূলক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হুলস্থুল পড়ে যায়। এই ঘটনা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শোরগোল ফেলে। তা জেনে সক্রিয় হয় বর্ধমান থানার পুলিশ। নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ ৩ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা মহিলা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো ওই যুবকরা। তারা তাঁকে বারে বারে ধর্ষণের চেষ্টা করে"। এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে, ধৃতরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তাদেরকে শাসকদলের একাধিক নেতার সঙ্গে মঞ্চে দেখা যেত।
আরও পড়ুন-দুপুরের পর আবহাওয়ার ম্যাজিক বদল, পুজোর আগে প্রবল বৃষ্টিতে ভিজবে কোন কোন জেলা?
এখন যদিও এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য না করে কার্যত এড়িয়ে যান। জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “বাংলা নিজের মেয়েকে চাই বলে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার সাধারণ মহিলাদের সম্মান বাঁচাতে ব্যর্থ।
তৃণমূলের রাজত্বে বাংলায় মহিলারা কেউ নিরাপদে নেই । আরজি কর কাণ্ড তার বড় প্রমাণ"। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার মহিলাদের গর্জে ওঠার আহ্বান জানান এই বিজেপি নেতা।