TMC LEADER MURDER: দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার বনহুগলীতে তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল আরও চারজন। এর ফলে মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত। শুক্রবার দুপুরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বনহুগলী এলাকা থেকে শ্যামল বিশ্বাস, বিধান ব্যানার্জি ও বাপ্পা মিস্ত্রিকে এবং শনিবার গড়িয়া পাঁচপোতা এলাকা থেকে পিন্টু বাগকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার আগে অভিযুক্তরা একসঙ্গে মদ্যপান করেছিল। বাপ্পা মিস্ত্রি আগের এক ঘটনায় মারধরের শিকার হওয়ায়, বদলা নিতে পরিকল্পিতভাবে খুনের ছক কষা হয়।
গত ৫ জুলাই নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় বিষ্ণুপুর থানার বাসিন্দা সুদীপ নাড়ুর। স্থানীয়দের খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের এসওজি তদন্ত শুরু করে। প্রথমে ধরা পড়ে নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকার সুশান্ত দাস ওরফে লাদেন।তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আশাদুল মণ্ডল ওরফে কালোবাবুর নাম। পুরনো শত্রুতাই এই হত্যার নেপথ্যে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধৃতরা সকলেই দাগী আসামি—খুন, ছিনতাই, হামলাসহ একাধিক মামলায় জড়িত। সুশান্ত ও আশাদুলকে জেরা করে পুলিশের হাতে আসে রাজা বণিক নামে এক গাড়ি চালকের নাম, যিনি নেতাজীনগরের বাসিন্দা। রাজাকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে জানিয়েছে, খুনের আগে সে নিজের গাড়িতে সুদীপকে নিয়ে আসে এবং পরে দেহ ফেলে দেয়। পুলিশের ধারণা, ধৃতদের জেরা করে এই হত্যাকাণ্ডে আরও নতুন তথ্য ও জড়িতদের হদিস মিলতে পারে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনহুগলী ও আশপাশের এলাকায়।