আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনকে রক্ষা করতে শুক্রবার ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণ করার এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে নাম না করে তৃণমূলেরই আরেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে, 'বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার' করার প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার আমফান বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শনে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিকে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন নেতাজীর প্রপৌত্র চন্দ্র বসু।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
তৃণমূলে ফের অন্তর্কলহ, সুর চড়ালেন সুব্রত
আজই আমফান বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শনে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। আর এদিনই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "সাগরে কোনও মন্ত্রী যাননি। পাশেই একজন মন্ত্রী থাকেন। তাঁর যাওয়া উচিত ছিল। এগুলো আমাদের সংশোধন করে নিতে হবে। যাঁরা মানুষের কাজে মানুষের পাশে দাঁড়াননি, তাঁরা ঠিক করেননি।" সুব্রতবাবুর বক্তব্য, "করোনা নিয়ে ভয় থাকতে পারে। আমারও আছে। অনেক সময় আমাদের পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করেও বাইরে কাজ করতে বেরতে হয়। এটাই রাজধর্মের শর্ত।"
আমফান পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে তৃণমূলে দ্বিতীয়বার অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এল।এর আগে কলকাতা পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ববি হাকিমের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে 'শোকজ' নোটিস পেয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে। তিনি বলেছিলেন, আমফানের পূর্বাভাস যখন ছিলই তখন ববি হাকিমের উচিত ছিল কলকাতা বিধায়কদের সঙ্গে আলোচন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন সাধন। এবার সেই আমফানজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই দলের আরেক মন্ত্রীকে নাম না করে আক্রমণ করে বসলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
‘ভদ্রেশ্বর থানায় যেতে বাধা’, পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন
'বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার' করার প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শুক্রবার তিনি তাঁর দলের কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে ভদ্রেশ্বরে যান, কিন্তু থানায় যাওয়ার আগেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ভদ্রেশ্বর থানার সামনে একটি সমাবেশ চলছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সেখানে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। যদিও পুলিশের এই অভিযোগ মানতে নারাজ সায়ন্তন বসু, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।
রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন,
শিক্ষাক্ষেত্রে বেহাল বাংলা, পার্থকে তোপ দিলীপের
শিক্ষা দফতর কোনও কাজ করছে না, তাই কেন্দ্রীয় বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাচ্ছে এই অভিযোগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে বেহাল দশা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
* “পার্থবাবুর দফতরে ২০১৪-১৫তে কেন্দ্র থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য। কোনওটার কাজ শুরু হয়নি।"
* ওই টাকা রাজ্যকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
* দিলীপ ঘোষ আক্রমণের সুরেই বলেন যে মুসলিম সমাজ নিয়ে এত চিন্তা রাজ্য সরকারের অথচ তাঁদের ড্রপ আউট রুখতে পারছে না সরকার।
* এছাড়া তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত নানা তথ্য তুলে ধরে বিঁধলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
বিস্তারিত পড়ুন, এবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের
দেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এখানে
‘দেশভাগ রুখতে নেতাজির ধর্মনিরপেক্ষতা অনুসরণ করুন’, বিজেপিকে বার্তা চন্দ্র বসুর
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি শিবিরে ক্ষমতা বদল হয়েছে। অনেকের হাতে এসেছে বাড়তি দায়িত্ব, কেউ বা হারিয়েছেন পদ। সেই আবহে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পেলেন না নেতাজি প্রপৌত্র চন্দ্র বসু। কিন্তু কেন? নেপথ্যে অবশ্য এনআরসি-সিএএ বিরোধিতাকেই দায়ী করছেন তিনি। তাঁর মত ‘নেতাজির আদর্শ কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকে দূরে ঠেলে দিতে শেখায়নি। কিন্তু, এই দুই আইনের মাধ্যমে তাই করা হচ্ছে। তাই আমি এনআরসি-সিএএ-এর প্রতিবাদ করেছিলাম।" তবে এখনই পদ্ম শিবির ছাড়ার কথা ভাবছেন না চন্দ্র বসু।
*‘নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বিজেপির বড় নেতা। তাঁদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। বাকি নেতৃত্ব হয়তো মনে করেছিল নেতাজি পরিবারের সদস্য বলে আমি ম্যাজিক করে দেব। কিন্তু, আমি পারিনি'।
*'আমার কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছয়নি বলেই মনে হয়।’
*‘মমতার মুসলিম তোষণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’
* বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘উনি আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। তাই আমাদের এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াও নেই।’
সবিস্তারে পড়ুন এই প্রতিবেদনে, বঙ্গ বিজেপিতে অনুযোগ, এনআরসি-সিএএ বিরোধিতাই কাল হল প্রপৌত্রের!
রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন,
আমফান ধ্বংসের পর মমতার হাত ধরে সরকারি বৃক্ষরোপণ উদ্যোগের সূচনা
সুপার সাইক্লোন আমফানে ধ্বংস হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতদিন সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে যে ম্যানগ্রোভ সেগুলিও আজ নষ্ট। সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণ করার এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী দিয়ে শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমফান এবং করোনা নিয়ে বিরোধী বিজেপিকে তুলোধোনাও করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, "করোনা ও আমফান বিপর্যয়ে এই রাজনৈতিক দল খালি বলে চলেছে, বাংলা থেকে আগে এদের তাড়াও, আমাদের ভোট দাও!" এরপরই গেরুয়া শিবিরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে মমতার বলেন, "এখন কি রাজনীতি করার সময়? আমি তো বলছি না নরেন্দ্র মোদীকে তাড়াও। কারণ, এটা সেই সময় না। রাজনীতি হবে রাজনীতির সময়ে।" শুক্রবার হরিশ মুর্খাজি পার্কে তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, "রাজনীতি না করে মানুষের সেবা করুন। গাছ রোপণ করুন, পুকুর পরিষ্কার করুন।"
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন এখানে
Best wishes to all on #WorldEnvironmentDay. Save green, save life. After the cyclone, incalculable ecological damage has occurred in #Kolkata & south #Bengal. Tens of thousands of trees have been uprooted. We must all work together to restore the greenery in our State
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 5, 2020
এদিনের বৃক্ষরোপণ মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ বলেন, "অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। আমাদের ভাই-বোনেরা আক্রান্ত হয়ে ফিরছেন বলে রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। ট্রেন, বিমান সব চালিয়ে দিয়েছে। তাতেও যেভাবে আমরা দুর্যোগ, দুর্ভোগ সামলে কাজ করছি তার ১ শতাংশ পারবে না অন্য কোনও রাজ্য।" এদিকে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়ায় বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে বলেন, "আমফানের ফলে পরিবেশে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এক বছরের মধ্যে হলদিয়ায় ১ লক্ষ গাছ রোপন করা হবে।"
রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন,
বাংলায় ফের কেন্দ্রীয় দল, ঘুরে দেখছেন আমফান ক্ষতচিহ্ন
আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় পরিদর্শন দল। শুক্রবার পাথরপ্রতিমা, সন্দেশখালিতে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন পরিদর্শনকারী দলের প্রতিনিধিরা। এদিন নদীবাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। জলপথেই একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় পরিদর্শন দল। জানা গিয়েছে দুটি দলে ভাগ হয়ে এই কাজ করছেন তাঁরা।
* একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব অনুজ শর্মা।
* জলপথেই পরিদর্শন কেন্দ্রীয় দলের
* ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা, এমনটাই জানা গিয়েছে।
* কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনের ঠিক আগে গতকালই ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের হালহকিকত দেখলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
* এলাকা ঘুরে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, “আমার উপলব্ধি স্থায়ী বাঁধ তৈরি করা দরকার। যদিও তার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় দল আসছে, তাঁদের কাছে মুখ্যসচিবের মাধ্যমে দাবি জানানো হবে।”
আমফান সংক্রান্ত আন্ত্র-মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলের সফরটিকে (জুন 4-6) সম্পূর্ণরূপে সদ্ব্যবহার করা প্রয়োজন।@MamataOfficial রাজ্যর সর্বাঙ্গীন কল্যাণের স্বার্থে @PMOIndia কেন্দ্রের সাথে সমন্বয়সাধন করেই কাজ করতে হবে।(1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 4, 2020
দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে