ফের গরু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহার। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের এই জেলায় গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হল দুই ব্যক্তিকে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি নম্বরপ্লেটবিহীন গাড়ি করে দুটি গরুকে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়েই গরু চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটকে মারধর করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গরু চুরির গুজব এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোচবিহার।
আরও পড়ুন: পার্শ্বশিক্ষক আন্দোলনের ‘প্রথম শহিদ’ রেবতী রাউত, স্বামীর দাবি পথ দুর্ঘটনা!
ঠিক কী হয়েছে কোচবিহারে?
পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গাড়িতে গরু তোলার খবর পেয়েই মাথাভাঙার দুই বাসিন্দা প্রকাশ দাস (৩২) এবং বাবুল মিত্র (৩৭)-কে আটকায় ২০ জন। কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "প্রথমে তাঁদেরকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে লাঠি এবং পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ছত্রভঙ্গ হয় জনতা।" তিনি এও বলেন, "ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে তাঁদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁরা 'গরু চোর' কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে জানা জানায়নি।"
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল ‘মৌচাকে ঢিল’ মারায় হুল ফোটালেন ‘মৌমাছি’ চন্দ্রিমা
কোচবিহার পুলিশ এসপি সন্তোষ নিমবালকর বলেন, "এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তেরোজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত চলেছে।" এদিকে উত্তেজিত এলাকার পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা চিহ্নিত করে তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক। ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও অভিযোগ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান কোচবিহার থানার এক পুলিশ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, গরু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। গরু চুরিকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং গ্রামবাসীর খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তুফানগঞ্জের ছাটরামপুর গ্রামে। পুলিশের দুটি গাড়ি-সহ পুলিশকর্মী এবং তিনজন সাংবাদিকের ওপরও হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রামবাসীরা দাবী করেন, ওই এলাকা থেকে একের পর এক গরু চুরি হচ্ছিল বহুদিন ধরে। পুলিশের কাছে যাওয়া হলেও পুলিশের তরফ থেকে কোনওরকম সাহায্য পান নি গ্রামবাসীরা।
Read the full story in English