সমকাজে সমবেতনের দাবিতে অনশন-আন্দোলনরত রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের অন্যতম রেবতী রাউতের মৃত্যু হল। পার্শ্ব শিক্ষক আন্দোলনের নেতা অতনু মজুমদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, ১১ থেকে ১৮ তারিখ (নভেম্বর) পর্যন্ত আন্দোলনে শামিল ছিলেন রেবতী দেবী। অসুস্থ বোধ করায় ১৮ তারিখ রাতেই বাড়ি ফিরে যান তিনি। এরপর ১৮ তারিখ মৃত্যু হয় তাঁর"। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ নামের এক ফেসবুক পেজে রেবতী দেবীকে এই আন্দোলনের 'প্রথম শহিদ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রেবতী রাউতের মৃত্যুর কারণ এবং তারিখ ঘিরে রীতিমত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: “পার্শ্বশিক্ষকদের টাকা গায়েব করছে রাজ্য”, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের
পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্লকের দক্ষিণ বোড়াই প্রাথমিক স্কুলে চাকরিরতা রেবতী রাউতের ১৮ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায় গাড়ির ধাক্কায়, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর স্বামী আশীস রাউত। পার্শ্বশিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ভগীরথ ঘোষ আবার জানাচ্ছেন, পথে চলতে চলতে হঠাৎ পরে গিয়ে মৃত্যু হয় রেবতী দেবীর। তবে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, "জনস্রোতে ভাসছে তিলোত্তমা। এ আন্দোলন তার নিজস্ব গতিপথ পেয়ে গেছে। যে আবেগ তৈরি হয়েছে তা রোখার সাধ্য নেই প্রশাসনের, সরকারকে নমনীয় হতেই হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের খবর এ আন্দোলন করতে এসে প্রথম শহীদ হলেন একজন। রেবতী রাউত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পার্শ্বশিক্ষিকা। ১১ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি খোলা আকাশের নীচে সবার সঙ্গেই ছিলেন। অসুস্থ বোধ করায় বাড়ি যান। ডাক্তার দেখানোর মতো টাকা ছিল না। ১৯ তারিখ তিনি মারা যান। এ মৃত্যুর দায় কার? ৪ জন অনশনকারী এ মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। একজনের সেলিব্রাল এটাক করেছে। যদি কিছু হয়, তার দায় কার?আমরা জানাচ্ছি National Human Rights কমিশনকে। প্রয়োজনে International Forum এ জানাব। রেবতী রাউতের স্বপ্ন আমরা পূরণ করবই। এ ঐক্যমঞ্চের দৃঢ় অঙ্গিকার। শুধু আমাদের সঙ্গে থাকুন, সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে আসুন কলকাতায়।"