Purba Bardhaman News:বাবার সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুরতে যাওয়া হয়নি, অভিমানে ষষ্ঠ শ্রেণির এই পড়ুয়া যা ঘটাল...

Vishwakarma Puja: বাবার সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ঠাকুর দেখতে বেরনো হয়নি। সেই অভিমান থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে শিশুটি। এমনই ধারণা পরিবারের।

Vishwakarma Puja: বাবার সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ঠাকুর দেখতে বেরনো হয়নি। সেই অভিমান থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে শিশুটি। এমনই ধারণা পরিবারের।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
Purba Bardhaman,  Purbasthali Block 2,  Kalekhatla  ,Nandipara,  Vishwakarma Puja  ,Suicide,  Class six student  ,Anshu Das  ,Hanging,  Depression,  Cycle repair shop,  Kalna Subdivisional Hospital,  Postmortem,পূর্ব বর্ধমান  ,পূর্বস্থলী ২ ব্লক,  কালেখাঁতলা  ,নন্দীপাড়া,  বিশ্বকর্মা পুজো  ,আত্মঘাতী  ,ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র  ,অংশু দাস  ,গলায় ফাঁস  ,অভিমান  ,আত্মহত্যা  ,সাইকেল সারাইয়ের দোকান,  কালনা মহকুমা হাসপাতাল,  ময়নাতদন্ত

Purbasthali Police Station: পূর্বস্থলী থানা।

Purba Bardhaman Incident: বাবা এলাকার বিশ্বকর্মা পুজো ঘুরিয়ে দেখাতে নিয়ে যায়নি, সেই অভিমানে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ছেলে। মৃতের নাম অংশু দাস (১২)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কালেখাঁতলার নন্দীপাড়ায়। অভিমান করে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে বসায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন অংশুর বাবা মা। পুজোর আনন্দের মাঝে এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নাবালক অংশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। 

Advertisment

পরিবার পরিজন ও স্থানীদের কথায় জানা গিয়েছে, অংশুর বাবা প্রাণকৃষ্ণ দাসের একটি সাইকেল সারানোর দোকান রয়েছে কালেখাঁতলা বাজারে। প্রাণকৃষ্ণ বাবু সেখানে ছোট খাটো করে বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজন করেন। বাবার দোকানে পুজো হবে বলে অংশু বুধবার সকালে থেকে দোকান পরিষ্কারের কাজে হাত লাগায়।

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: পুজোর মুখে চর্চায় SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, আজ পার্থদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু

Advertisment

পুজো থাকায় অংশুদের বাড়িতে কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও এসে পৌছায়। পূজারী পুজো করে চলে যাওয়ার পর ওইদিন বিকেলে আত্মীয়ের ছেলে মেয়েদের বাইকে চাপিয়ে প্রাণকৃষ্ণবাবু এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপে বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যান। 

আরও পড়ুন-Historic Bridge: ঐতিহ্যের নির্মাণে রঙের ছোঁয়া, দুর্গোৎসবের আগে কচিকাঁচাদের তুলির আঁচড় রবীন্দ্রনাথ-গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সেতুতে

ওই সময় অংশু খেলা করছিল। খেলে তারপর ঠাকুর দেখতে যাবে বলে জানালে তাকে আর তাঁর বাবা সেই সময় নিয়ে যাননি। পরে অংশুকে তার বাবা যেতে বললেও অংশুর আর যায়নি। তার মা সন্ধ্যাবেলায় স্বামীর দোকানে যান । পরিবারের দাবি, ওই সময় মনমরা হয়ে অংশু বাড়িতেই ছিল। দোকানের ঠাকুর দেখে আত্মীয়দের নিয়ে অংশুর মা পরে বাড়িতে পৌছান। ঘরে ঢুকেই তিনি গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় অংশুকে ঝুলতে দেখেন। 

আরও পড়ুন-ধর্ষণ মামলায় বিরাট গ্রেফতারি, দিল্লি পুলিশের জালে এই হেভিওয়েট

পরিবারের লোকজন এদিন জানান, অংশু বাড়িতে স্নান-খাওয়াও করেছে। কিসের জন্য তার এত অভিমান হল, কেন যে এতবড় সিদ্ধান্ত নিল, কিছুই তাঁরা বুঝতে পারছেন না। যদিও ভাস্কর দাস নামে অংশুর এক আত্মীয় বলেন, “বাড়িতে আসা অংশুর মাসি ও মামার ছেলেদের ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেলেও অংশুকে নিয়ে না যাওয়ার অভিমান থেকেই অংশু এমনটা করেছে বলে মনে হচ্ছে।” 

Bengali News Today Suicide Purba Bardhaman