কৃষ্ণনগর পুরসভার পুর পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় ২৪ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করলো রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন ও পুরবিষয়ক দপ্তর। মঙ্গলবার বিকেলে পুরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে এক সরকারি নির্দেশের পাঠায় দপ্তর । সেই মতো কাউন্সিলরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে এর কারণ জানিয়ে চিঠি পাঠাবে বলে জানিয়েছে। প্রসঙ্গত এই শোকজের চিঠির ২৪ ঘন্টা আগে কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাসকে অপসারিত করা হয়েছে। তাই মঙ্গলবার এই ২৪ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করা সেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে এই চিঠি আসে।
জানা গিয়েছে, নিয়মিত পুরসভার পরিষেবা ভবন পরিকল্পনা অনুমোদন, সম্পত্তি কর আদায় পদ্ধতি, স্যানিটেশন ইত্যাদি স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এছাড়া নিকাশি- নালা পরিষ্কার, ড্রেনেজের অনিয়মিত পরিস্কারে বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো ভেক্টর বাহিত রোগে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এর সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে পুরকর্মীদের বিরুদ্ধে দূর্নীতিরও।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতার পর এই প্রথম! সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় এ যেন নতুন যুগের সূচনা
ঠিকাদার ও সরবরাহকারীদের সময়মতো বিল না দেওয়ার বিষয়টিও আছে। গোটা পুর ব্যবস্থা এভাবে শিথিল হয়ে যাওয়া ও নাগরিক পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় ক্ষুব্ধ নগরোন্নয়ন ও পুরবিষয়ক দপ্তর। পুর পরিষেবা ভেঙে পড়ার নিয়ে দপ্তরের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ সম্বলিত চিঠি জমা পড়েছে। তাই মঙ্গলবার বিকেলে এক সরকারি নির্দেশের মাধ্যমে পুরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শোকজের এই চিঠি পাঠানো হয়। রাজ্যের পুর আইনের ১৯৯৩-এর ৪৩১(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যপাল নির্বাচিত পুরবোর্ডকে তাই নির্দেশ দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন তাদের বরখাস্ত করা হবে না? তার উপযুক্ত কারণ সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা করতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Trump India Tariff News: ভারতকে ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, চাপে রাখার বড়সড় চক্রান্ত?
এই নির্দেশ মঙ্গলবার থেকে জারি হয়েছে। এ নিয়ে পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মলয় দত্ত বলেন, 'আমি শোকজের চিঠি পেয়েছি। কি কারণে কাজ হয়নি তা ৭ দিনের মধ্যে জানাব।' বিজেপির কাউন্সিলর বর্নালী দত্ত বলেন, 'চিঠি পেয়েছি বিকেলে। পুরসভা কাজ করতে পারেনি। এর কি কারণ ৭ দিনের মধ্যে জানিয়ে দেব।'
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর গৌতম মালাকার বলেন, আমাদের কিছুর ভুলের জন্য এই জায়গায় এসেছে। আমাদের উচ্চ নেতৃত্ব যদি একটু শুধরে দিত তাহলে হয়ত এ জায়গায় আসত না। চিঠি পাঠিয়ে অবশ্যই জবাব দেব।' এ প্রসঙ্গে সদর মহকুমাশাসক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, 'পুরসভার কাউন্সিলদের শোকজ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।'