নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে তোলপাড় ফেলে দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রয়েছেন অর্মত্য সেন, এই অভিযোগে মঙ্গলবারই তাঁর হাতে চিঠি ধরিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার পরের দিনই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে দেওয়া টেলিফোনে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তোলপাড় ফেলে দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। 'অর্মত্য সেন জমি হরফকারী। আগে সামনে পাইনি তাই কাগজে দিয়েছিলাম। এবার সামনে পেতেই চিঠি ধরিয়েছি।' বলেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
অভিযোগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এর আগেই এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। তবে এই প্রথম অমর্ত্য সেনের হাতেই জমি ফেরানোর আবেদন সংক্রান্ত চিঠি ধরাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সরকারি ব্যবস্থাপনাতেই জমি মাপার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। যৌথভাবে জমি মাপার আবেদনও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। মঙ্গলবার অমর্ত্য সেন তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে পৌঁছনোর পরপরই বিশ্বভারতীর তরফে ওই চিঠি তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সামনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন। উপাচার্য বলেন, 'উনি জমি হরফকারী। আগে আমরা হাতের কাছে পাইনি বলে কাগজে দিয়েছিলাম। এখন উনি ক্যাম্পাসে এসেছেন। তাই ওঁর হাতেই চিঠি দিয়েছি। এব্যাপারে ওঁর কোনও দ্বিধা থাকতেই পারে। আমরা ওঁকে জানিয়েছি যে ওঁর সামনেই জমি মাপতে চাই। জমি মেপে যদি দেখা যায় সেটি ওঁর, তবে আমরা কিছু বলব না। সব কিছু প্রত্যাহার করে নেব। কিন্তু যদি দেখা যায় জমিটা আমাদের, তাহলে ওঁকে জমিটা ফেরত দিতে হবে।'
আরও পড়ুন- ক্লান্ত ‘দিদির দূত’ অসিত মজুমদার, পঞ্চায়েত সদস্যাকে দিয়ে পা টেপানোর ছবি ভাইরাল
বিশ্বভারতীর তরফে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে রাজ্য সরকারের কর্মীদের দিয়েই ওই জমি মাপানো যেতে পারে। এপ্রসঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা বলেছি জমিটা রাজ্য সরকারের কাউকে দিয়ে মাপাতে পারেন। বিশ্বভারতীর জমি চুরি হচ্ছে আর আমরা কিছু বলব না? আমরা হাতে হাতে চিঠি এই প্রথম দিয়েছি। উনি সই করে চিঠি নিয়েছেন। এটা রেকর্ড হয়ে গেল। এর আগেও বিশ্বভারতীর অনেক জমিই এভাবে দখল হয়েছে। দখল হওয়া ১২ একর জমি আমরা আগে উদ্ধারও করেছি। অমর্ত্য সেনের ইস্যুটা পুরনো। আগে ওঁকে আমরা সামনে থেকে পাইনি। এখন ওঁকে সামনে পেয়ে হাতে চিঠি দিয়েছি।' এদিকে, অমর্ত্য সেন নিজে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। এব্যাপারে তাঁর আইনজীবীই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- অসাধারণ এই সাগরতটে অনাবিল আনন্দ, কলকাতার কাছেই এজায়গার জুড়ি মেলা ভার!