Vijay Mallya Podcast: একসময় হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ছিলেন, রাতারাতি দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, সেই বিজয় মালিয়া এখন কী করছেন? বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের অনেক ব্যাংক থেকে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে, মালিয়া ভারত ছেড়ে ব্রিটেনে চলে যান।
ফের শিরোনামে বিজয় মালিয়া। 'আমি পলাতক নই, আমাকে চোর বলাটা ভুল', বিদেশের মাটি ছুঁড়লেন হুঙ্কার। 'বিস্ফোরক' বিজয় মালিয়া আরও বলেন, "ব্যাংকগুলি ৬২০০ কোটি টাকার পরিবর্তে ১৪০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। আমার পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার কারণে আমি লন্ডনে আটকে যাই। আমি পলাতক নই, পালানোর পরিকল্পনা ছিল না। আমাকে চোর বলাটাও ভুল"।
৯ বছর ধরে মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পর, সম্প্রতি ইউটিউবার রাজ শামানির আয়োজিত একটি পডকাস্টে নীরবতা ভাঙলেন বিজয় মালিয়া। চার ঘন্টার এই কথোপকথনে তিনি তার জীবন, ব্যবসা, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বন্ধ হয়ে যাওয়া, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন এবং আইনি লড়াই সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন।
এই পডকাস্টে বিজয় মালিয়া বলেন, 'যদি আমি ন্যায্য বিচারের আশ্বাস পাই তবে তিনি ভারতে ফিরে আসার বিষয়ে "গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা" করব"। ২০১৬ সালের ২রা মার্চ ভারত ত্যাগ করেন মালিয়া। এরপর তার বিরুদ্ধে উঠে আসে একের পর এক দুর্ণীতি। কিংফিশার এয়ারলাইন্সের সাথে জড়িত ৯,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যাংক ঋণ খেলাপি মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে ভারতে ওয়ান্টেড তিনি।
পডকাস্টে বিস্ফোরক বিজয় মালিয়া! বললেন “ভারত ছাড়ার আগে জেটলিকে বলেছিলাম”। বহুচর্চিত ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া আবারও শিরোনামে। নয় বছর পর প্রকাশ্যে এসে, ইউটিউবার রাজ শামানির একটি পডকাস্টে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। বিজয় মালিয়া বলেন, “ভারত ছাড়ার আগে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে বলেছিলাম আমি লন্ডন যাচ্ছি।” এই বক্তব্য ঘিরে ফের চড়তে শুরু করে রাজনীতির পারদ। কংগ্রেসের পবন খেরা সরাসরি আক্রমণ করেছেন মোদী সরকারকে। মালিয়া বলেন, “২০১৬ সালের ২ মার্চ আমি জেনেভায় FIA বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। তার আগে দিল্লি বিমানবন্দর যাওয়ার সময় জেটলিকে জানিয়েছিলাম আমি লন্ডন যাচ্ছি। বলেছিলাম, আমাকে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বসার সুযোগ দিন।”
তিনি দাবি করেন, “আমি পলাতক নই। আমার পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় আমি লন্ডনে আটকে যাই। আমাকে চোর বলা একেবারেই ভুল।” মালিয়ার এই বক্তব্য সামনে আসতেই কংগ্রেস নেতা পবন খেরা এক্স-এ লিখেছেন,“একজন বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানকে আগেই জানিয়ে দেন অপারেশনের কথা, এক ব্যাংক ঋণ খেলাপি অর্থমন্ত্রীকে বলে দেশ ছেড়ে চলে যান! নরেন্দ্রর পুরো সিস্টেম আত্মসমর্পণ করেছে।”
পডকাস্টে মালিয়া আরও জানান, “আমি একজন ধার্মিক মানুষ। দেশের প্রায় সমস্ত প্রধান মন্দিরে গেছি। মা’র বিশ্বাসে বহু জায়গায় দান করেছি।” তিনি বলেন, তিনি প্রতি বছর ৪১ দিন উপবাসে থাকেন, খালি পায়ে যাত্রা করেন। তিনি দাবি করেন, কেরলে শবরীমালা মন্দিরের সোনার ছাদ তাঁর দান করা। এছাড়াও তিরুপতি, সুব্রামণ্য, ও মুকাম্বিকা মন্দিরেও বহু দান করেছেন।
বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণা ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কিংফিশার এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৬ সালে তিনি লন্ডন চলে যান। IDBI ব্যাঙ্কের ৯০০ কোটি টাকার মামলাও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যেই ৬২০০ কোটি টাকার বদলে ১৪০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। চার ঘণ্টার এই সাক্ষাৎকারে মালিয়া তাঁর জীবন, ব্যবসা, কিংফিশার এয়ারলাইন্স, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, আইনি লড়াই ও বিশ্বাস নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। এই পডকাস্ট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।