New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/18/oiAUIuGkalEsAybWEnbO.jpg)
শুধু ঢপের চপ নয়, বাতেল্লা ফুলুরি, ডুবন্ত আলুবড়া, ঝুলন্ত বেগুনি খেতেও দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা সন্ধ্যায় ভিড় জমান এই দোকানে।
Rishra Dhoper Chop: শুধু ঢপের চপ নয়, বাতেল্লা ফুলুরি, ডুবন্ত আলুবড়া, ঝুলন্ত বেগুনি খেতেও দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা সন্ধ্যায় ভিড় জমান এই দোকানে।
শুধু ঢপের চপ নয়, বাতেল্লা ফুলুরি, ডুবন্ত আলুবড়া, ঝুলন্ত বেগুনি খেতেও দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা সন্ধ্যায় ভিড় জমান এই দোকানে।
Rishra Dhoper Chop: 'ঢপের চপের' কাহিনী। চপ শিল্পর মাধ্যমে দিব্বি সংসার চালানো যায়। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হুগলি জেলার রিষড়া হরিসভা এলাকার কালিপদ দত্ত। পঞ্চাশোর্ধ এই ব্যক্তি এলাকায় ভীষণ জনপ্রিয় 'ঢপের চপ' বানানোয়। শুনতে অবাক লাগছে? তাহলে আসতে হবে এই দোকানে। আসলে দোকানের নাম ই হলো 'ঢপের চপ'। রাত আটটার পর এলে আর 'ঢপের চপ' পাওয়া যায়না এতটাই চাহিদা।
মৌরি,কালোজিরে,গোলমরিচের মশলা দিয়ে তৈরী এই চপ সুস্বাদু বলছেন ক্রেতারা। কিন্তু চপের দোকানের এরকম নাম কেন? নাম শুনলেই মনে হয় প্রতারণা করা হচ্ছে। মালিক কালিপদ বলেন,আসলে ছোটবেলায় এমন অনেক খবর বন্ধুদের দিতাম যা বিশ্বাস করত না বন্ধুরা,বলত,' ঢপের চপ দিস না তো'।'বাতেলা মারিস না'।সেই থেকে মাথায় আসে চপের দোকান করব আর তার নাম দেব ঢপের চপ।
২০১৬ সাল থেকে এই দোকান চালাচ্ছেন কালিপদ। প্রথমে ছিল মাচা, এরপর হলো লোহার খাঁচা। শুধু চপ নয়, এই দোকানে পাওয়া যায় আরো হরেক রকম তেলেভাজা। আসলে বাঙালির রসনার ইতিহাসে তেলেভাজার গুরুত্ব অসীম। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - সন্ধ্যার টিফিনে তেলেভাজাই ভরসা।
শুধু ঢপের চপ নয়, বাতেল্লা ফুলুরি, ডুবন্ত আলুবড়া, ঝুলন্ত বেগুনি খেতেও দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা সন্ধ্যায় ভিড় জমান এই দোকানে। সঙ্গে যোগ্য সহধর্মিনী মৌসুমী কে পেয়েছেন। দুজনে মিলে দিব্বি দোকান চালাচ্ছেন। দোকানের এরকম নাম হলেও কাছের মানুষটি সেরকম নন বলেই মুচকি হেসে জানান মৌসুমী। তিনি মোটেই বাড়িতে ঢপ দেননা। খুবই সহজ সরল মানুষ।
অন্যদিকে কালিপদ জানান, ছোটবেলায় বাবার একটা তেলেভাজার গুমটি ছিল। সেখানে তিনি বসতেন। যদিও পরে সেটা বন্ধ হয়ে গেছিল। তবে তাঁর ক্যারিয়ার কিন্তু এই চপের দোকান থেকে শুরু হয়নি। তিনি দর্জির কাজ শিখে ১৯৯২ সাল থেকে সেই পেশায় ছিলেন। নিজস্ব দোকান ও ছিল। এখন আর টেলারিং এর কারবার চলে না। তাই চপের দোকান দিয়েছেন ২০১৬ সাল থেকে।
রাস্তার পাশে একটা চলমান ( নিচে চাকা লাগানো) লোহার ঘুমটি। সেখান থেকেই বিক্রিবাট্টা। রাস্তার ধারে সরকারি জমি। তাই এই চলমান দোকান। কখন এসে উচ্ছেদ করে দেবে! তাবে তাঁর স্বপ্ন একটা পাকা স্থায়ী দোকান করবার। ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় যথেষ্ট ভাইরাল এই দোকান। এক কথায় বলা যেতেই পারে রিষড়া মানেই "ঢপের চপে"র জয়জয়কার।