/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/03/2lgSJRyDCT8QSWlfw8OP.jpg)
waqf amendment bill 2025: লোকসভায় পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল।
waqf amendment bill 2025:দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সংশোধিত ওয়াকফ বিল (waqf amendment bill 2025)। জানা গিয়েছে, এই ওয়াকফ বিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন ২৮৮ জন সাংসদ। অন্যদিকে বিলের বিপক্ষে রায়দান করেছেন ২৩২ জন সাংসদ। সংশোধিত ওয়াকফ বিলে পক্ষে-বিপক্ষে মিলিয়ে মোট ৫২০ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন।
অবশেষে লোকসভায় পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল। বুধবার প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে এই বিল নিয়ে আলোচনা চলে সংসদ ভবনে। দীর্ঘ আলোচনায় শাসক ও বিরোধী সব পক্ষের সাংসদরাই তাঁদের নিজেদের মতামত পেশ করেন। গতকাল রাত ১২টার পর সংসদে এই বিল নিয়ে ভোটাভুটি পর্ব শুরু হয়। রাত দুটোরও বেশি পর্যন্ত চলে এই পর্ব। অবশেষে রাত দু'টোর পরে সর্বাধিক ভোট পেয়ে লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সংশোধিত ওয়াকফ বিল। আজ বৃহস্পতিবার এই বিলটি রাজ্যসভায় পেশ।
যদিও সংশোধিত ওয়াকফ বিলের তুমুল বিরোধিতায় গতকাল সংসদ ভবনে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে BJP বিরোধী দলের সাংসদদের। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সাংসদ আবু তাহের এই বিল প্রসঙ্গে বলেছেন, "ধর্মের নামে দেশকে ভাগ করে দেবে, এটাই কেন্দ্রের লক্ষ্য। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে এই দান, তাই অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের মেম্বার হিসেবে থাকা উচিত নয়।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:আজ বাংলার ২৬ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ, নজর সুপ্রিম কোর্টে
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ওয়াকফ বিল নিয়ে বলেছেন, "ওয়াকফ ধর্মীয় দান-ধানের জন্য প্রতিষ্ঠান। মুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে নিজেদের সম্পত্তি ও অধিকার নিয়ন্ত্রণ করার। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ভাগ করতে চাইছে। যদি ওরা একতাই চায় তাহলে বিলে কেন ভাগের চেষ্টার কথা? এই বিল হল সরকারি মাধ্যম দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের একটি প্রচেষ্টা।"
একইভাবে এই সংশোধিত ওয়াকফ বিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন AIMIM সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। মিম সাংসদের কথায়,"দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করা হচ্ছে এই বিল এনে।" যদিও লোকসভায় গতকাল এই সংশোধিত ওয়াকফ বিল সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, "একজন মুসলিম তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না। আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে সেটাই দেখতে হবে। এটা ধর্মের কাজ নয়, এটা প্রশাসনিক কাজ।"