Waqf Bill:“ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে যে আমাদের সাথ দেননি তারা সেকুলার বলে আমরা মানব না”। বুধবার ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে মিছিল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম না করে একথা বলেন ওয়াকফ কমিটির সদস্য তাসির শেখ।
এদিন মুরারইয়ে কোনরকম দলীয় পতাকা ছাড়াই মিছিল বের করে মুসলিম সংগঠন। মিছিল শহর পরিক্রমা করার পর মুরারই ১ নম্বর ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি জমা দেন। মিছিলে মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে পা মেলান মুরারইয়ের বিধায়ক মোশারফ হোসেন, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ সহ অনেকে।
মিছিলে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতেই স্লোগান ওঠে শতাব্দীকে মানছি না মানব না। এ প্রসঙ্গে শতাব্দী রায়ের নাম না করে তাসির শেখ বলেন, “সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। কিন্তু তাঁরা সকলেই মুসলিম সাংসদ নন। হিন্দু সাংসদরাও ভোট দিয়েছেন ওয়াকফ বিল পাসে। যে আমাদের সাথ দেয়নি তাদের আমরা সেকুলার বলে মানব না। সাংসদ (শতাব্দী রায়) কেন যাননি দল জিজ্ঞেস করবে। মুসলমান জিজ্ঞেস করবে, সমাজ জিজ্ঞেস করবে কেন আপনি ভোটাভুটিতে গেলেন না। আমরা জিজ্ঞেস করতে যাব না। আমরা নিজেদের জমি রক্ষা করতে এসেছি”।
যদিও শতাব্দী রায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন অসুস্থতার কারণে তিনি ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। শতাব্দীর সাংবাদিক সম্মেলনের কথা জানেন বিধায়ক মোশারফ হোসেন কিন্তু তাঁর বিধানসভার সীমান্ত এলাকা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে মঙ্গলবারের রণক্ষেত্রের কথা জানেন না তিনি। বলেন, “জঙ্গিপুরে কি হয়েছে? আমি কিছু জানি না তো”।
শুধু মিছিল নয়, শতাব্দীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে রামপুরহাট শহরে। পোস্টারে পরিস্কার লেখা হয়েছে, সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিলে ভোটদানে অনুপস্থিত থেকে মাননীয়া সাংসদ কাদের উপকার করলেন? এই দ্বিচারিতা কেন?