'ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্যই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে।' মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য়ে তাজ্জব বনে গিয়েছেন শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থানকারী ডিএ আন্দোলনকারিরা। তাঁদের বক্তব্য়, মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকট থেকে চারিদিকে দোষারোপ করে বেড়াচ্ছেন। নোংরা রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে দিতে পারলে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়বে, এই প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগ করে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় অপ্রশিক্ষিত ৩৬ হাজার প্রাথমিকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার কথাও বলেছেন। তখনই তিনি বলেন, 'এদের চাকরি গিয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্য।' মখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে ডিএ আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন- ডিএ বাড়িয়ে দেবেন মমতা, তবে দিলেন বিরাট শর্ত! মানবেন আন্দোলনকারীরা?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য় কমিটির সদস্য রাজীব দত্ত বলেন, 'যাঁদের চাকরি চলে যাওয়ার মুখে তাঁদের হতাশা ও বিক্ষোভ রাজ্য় সরকারের অপদার্থতা ও ব্য়র্থতার জন্যই। এই দুর্দশা ও বিক্ষোভটা ডিএ আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য় নোংরা রাজনীতির খেলা খেলতে চাইছেন মাননীয়া। তাঁর এই ধরনের সস্তা রাজনীতিতে রাজ্যবাসী হিসেবে আমরা লজ্জিত। আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চ অরাজনৈতক ভাবে লড়াই করছি। আমাদের গায়ে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছেন। হলফ করে বলতে পারি তৃণমূল সমর্থকরাও আমাদের সঙ্গে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক অস্তিত্বের সংকট থেকে চারিদিকে দোষারোপ করে বেড়াচ্ছেন।'
মুখ্য়মন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্য়ের বকেয়া অর্থ আদায় করে দিতে পারলে সরকারি কর্মীদের আরও ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে। এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে শহিদ মিনারের নীচে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। রাজীব দত্ত বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলুন আমি সরকার ছেড়ে দিচ্ছি, আমি পারব না। পদত্য়াগ করুন। টাকা আদায় করতে পারি তাহলে তো ডিএটাও আমরা নিতে পারব। আপনি সরকার ছেড়ে দিন। রাজ্যের জনগণ বুঝে নেবেন তাঁরা কাকে রাখবেন। আপনার ব্যর্থতার দায় বার বার অন্যের গায়ে চাপাচ্ছেন এর থেকে বড় ব্যর্থতা আর কি হতে পারে?'