/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/04/DXRzPGRcT13IbE9cGNCA.jpg)
SSC Recruitment Case Verdict: শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক শিক্ষিকা।
SSC Verdict News: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে গতকালই চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চাকরি খোয়ানোদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গুহ ও কৃষ্ণমৃত্তিকা নাথ নামে দুই শিক্ষিকারও। দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানী বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা কৃষ্ণ মৃত্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার। রাজ্যপালের কাছ থেকে স্বর্ণপদকও নিয়েছেন। সুপ্রিম-রায়ে তিনিও আজ চাকরিহারা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে স্বভাবতই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন কৃষ্ণমৃত্তিকা। দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানী বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা কৃষ্ণ মৃত্তিকা বলেন, "ফার্স্ট কাউন্সিলিংয়েই চাকরি পেয়েছিলাম। আমি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। স্নাতকস্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার। আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। রাজ্যপালের কাছ থেকে স্বর্ণপদক নিয়েছি। এরপরেও যদি আমাকে প্রমাণ করতে হয় আমি যোগ্য কি অযোগ্য... তাহলে তো বলার কিছু নেই।"
শুধু কৃষ্ণমৃত্তিকাই নন, তার মতো আরও হাজার-হাজার যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে সুপ্রিম-রায়ে। যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করাই যায়নি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলার জল গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সেখানেও বারবার চলে শুনানি ও সওয়াল-জবাব। তবে সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটে গতকালই।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পুরো প্যানেলে বাতিল করা হল। আগে কলকাতা হাইকোর্ট এই একই নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রাপকরা। আশা ছিল, সর্বোচ্চ আদালত যোগ্য ও যোগ্যদের আলাদা করার একটা পথ খুঁজে বের করবে। যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকবে। তবে তেমনটা হয়নি। হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন।