/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/07/suvendu-on-ssc-exam-2025-09-07-07-54-52.jpg)
Live News in bengal : গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট জানুন।
রাজ্যজুড়ে বেআইনি টোটোর দাপট রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার টোটো রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও অনলাইনমুখী করেছে। পরিবহণ দপ্তরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি টোটো মালিককে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের যানবাহন রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে নির্দিষ্ট আরটিও (RTO) অফিস বা অনলাইন পোর্টাল parivahan.gov.in–এর মাধ্যমে।
আরও পড়ুন- এবার ঘরে বসেই হবে টোটোর রেজিস্ট্রেশন, কীভাবে? খরচ কত? জানুন বিশদে
পরিবহণ দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য এবং এক বছরের রিনিউয়াল ফি মোট ১,৭৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছে, যেটি অনলাইনেই প্রদান করতে হবে। এছাড়াও, রেজিস্ট্রেশন ও ১৮ মাসের রিনিউয়াল ফি মিলিয়ে মোট ২,৯৪০ টাকা অনলাইন পেমেন্টের সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি টোটো মালিককে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে বলেও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- গণধর্ষণ নয়, ধর্ষণ করেছে একজনই, দুর্গাপুরকাণ্ডে গোপন জবানবন্দি নির্যাতিতার
এদিকে, এই রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সল্টলেকের বিজেপি কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এই রাজ্যে বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে। সরকারি চাকরি না পেয়ে বহু শিক্ষিত যুবক ও যুবতী টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। রাজ্য সরকার এখন তাদের কাছ থেকেও টাকা তুলতে চাইছে।”
শুভেন্দু দাবি করেন, রাজ্য সরকার টোটো রেজিস্ট্রেশনের নামে ১,০০০ টাকা ফি ধার্য করেছে এবং প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে বছরে ১,২০০ টাকা দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, “চিটফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন রাজ্য সরকার মদ ও এই ধরনের ফি-র মাধ্যমে রাজস্ব তুলছে। সামনে নির্বাচন, তাই নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব গ্রামাঞ্চলের যুবকরা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে টোটো চালিয়ে সংসার চালান, তাদের জন্য এই বাড়তি ফি মুকুব করা হোক।” শুভেন্দুর দাবি, আগামী চার মাসের মধ্যেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হবে, তাই ৫ লক্ষ টোটোকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন- ভোটের আগেই 'খেলা ঘোরালেন' নীতীশ? NDA-তে ফাটল? তুঙ্গে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
তিনি টোটো চালকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা এক টাকাও দেবেন না। বিজেপি আপনাদের পাশে আছে। রাজ্য সরকার নানা উপায়ে টাকা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা এই চোর সরকারকে প্রতিরোধ করব।”
শেষে শুভেন্দু জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে বাংলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা ন্যায়বিচার পাবেন। তাই রাজ্যের মানুষকে তিনি অনুরোধ করেন যেন তাঁরা এই সরকারকে আর টাকা না দেন।
আরও পড়ুন- সোনার দামে রেকর্ড লাফ! জানুন ধনতেরাসে ধাতু কেনার শুভ সময়