West Bengal BJP: "যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ"। বিজেপির অন্দরমহল ছাড়িয়ে এখন এই আলোচনা সংগঠনের সর্বত্র। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় জোরালো সমর্থন করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর এই বার্তাকে। কিন্তু কেন এমন কথা বলতে হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে? পাশাপাশি দলের জেলা স্তরে নয়, একেবারে রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিবাদ তুঙ্গে। সংগঠন যে তলানিতে ঠেকেছে তা মেনে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী থেকে অর্জুন সিং বা সৌমিত্র খাঁ। অনেক ক্ষেত্রে বুথস্থরে সংগঠন আদৌ আছে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ শীর্ষ নেতৃত্ব।
একেই লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বাংলায় আসনবৃদ্ধি দূরের কথা ৬টি আসন কমে গিয়েছে পদ্মশিবিরের। তারপর বিধানসভার চার আসনের উপনির্বাচনে তো দাঁড়াতেই পারেনি বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের উপলব্ধি, সংগঠন ছাড়া এখানে ভোট করানো সম্ভব নয়। এখান থেকে মূল বিপত্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একজন আরেকজনের কোটে বলব ঠেলছে। তারই মধ্যে কিছুতেই সংখ্যালঘু ভোট বাগে আনতে পারছে না বঙ্গ বিজেপি। এটা আরেক কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে।
এসবের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ"।
এই নিয়েই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি মোদীর "সবকা সাথ সবকা বিকাশ" নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও শুভেন্দু তা মানতে নারাজ। এটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বক্তব্য। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলে সংখ্যালঘু মোর্চা থাকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট না কংগ্রেস-সিপিএম কাটতে পারছে, না বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সংখ্যালঘু ভোট যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাড়ারে।
আরও পড়ুন- Wonder Kid: দুরন্ত দক্ষতায় অকল্পনীয় নজির! অভানীয় প্রতিভায় ‘ভারতশ্রেষ্ঠ’ বাংলার খুদেকন্যা
সম্প্রতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। তারপর সায়েন্স সিটিতে দলীয় সভায় শুভেন্দু বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, "যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ"। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু এই বক্তব্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতাদের ভরা সভায় এমন বক্তব্য শুভেন্দুর মতো পোড়খাওয়া একেবারে উদ্দেশ্য ছাড়া করেছেন তা কখনই হতে পারে না। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কোনও না কোনও নেতৃত্বের মাথায় হাত না থাকলে এমন মন্তব্য কি করা যায়? সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এই সময়েই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগের কারণ। অর্থাৎ দুই বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।