West Bengal COVID-19 cases:করোনা (Corona) ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। শুধু গত ২৪ ঘণ্টাতেই রাজ্যে নতুন করে শতাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে সংক্রমণ বাড়লেও এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত সরকার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করছে না বলে অভিযোগ অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটা।
লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি দক্ষিণের রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ুতে বাড়ছে সংক্রমণ। এছাড়াও মহারাষ্ট্রেও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে কেরল, দিল্লির পরেই সর্বাধিক করোনার সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গেই। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে বুধবার থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে শুরু মক-ড্রিল। গোটা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই আর বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের নির্দেশেই আজ রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ, আইসোলেশন বেড-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে মক-ড্রিল।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update: আবারও শুটআউট মুর্শিদাবাদে, গুলিবিদ্ধ ১, মারাত্মক অভিযোগ অধীরের
তবে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও তার মোকাবিলায় রাজ্যের তৎপরতার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা। অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক গুমটা বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে তথ্য মিললেও রাজ্য সরকারের পোর্টাল প্রতিদিন আপডেট করা হচ্ছে না। আসলে ঠিক কী পরিস্থিতি, সেটা যেন এবারেও চেপে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এই রোগগুলোর লক্ষ্ণণ পাল্টে গেছে। সাধারণ মানুষের পক্ষেও বোঝার সমস্যা হচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনার যে যে লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে সেটার ব্যাপক প্রচার করা সরকারেরই কর্তব্য। আবারও সাধারণ মানুষের কী করণীয়, সেটা সরকারকেই প্রচার করতে হবে। অতীতের সেই বীভৎসতা যাতে ফের ফিরে না আসে সেই ব্যাপারে এখনই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি রাখাটাও সরকারেরই দায়িত্ব।"
আরও পড়ুন- Travel: এলাকার অনিন্দ্যসুন্দর সৌন্দর্য্যে মোহিত হবেনই! ঢুঁ মারুন কলকাতার কাছেই এই 'মিনি পহেলগাঁও'য়ে
চিকিৎসক গুমটার কথায়, "এই ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য না পেলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও আতান্তরে পড়বেন। তথ্যটা তো সরকারকেই দিতে হবে। ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন বর্তমানে কী পরিস্থিতি তা আমরা চিকিৎসকরাও বুঝতে পারছি না। মানুষকে সচেতন করতে হবে, তবে এব্যাপারে প্রকৃত তথ্য না পেলে মুশকিল হবে। আতঙ্ক ছড়ানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু সতর্ক তো করতেই হবে। সরকারের ঢিলেঢালা মনোভাব এবারেও দেখা যাচ্ছে। এটা করতে গিয়ে আবারও বড়সড় বিপদ না চলে আসে...!"
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: পরপর পুলিশি তলবেও গরহাজির অনুব্রত, বিরোধীদের নিশানায় প্রশাসনের শীর্ষ মহল