Advertisment

চৌদ্দ দিন অনশনের পর বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন

শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার গ্রেড পে বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়ার পর আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অনশনকারীরা মন্ত্রীর মুখের কথা বিশ্বাস করতে রাজি ছিলেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
প্রাথমিক শিক্ষক, Teacher, শিক্ষকদের অনশন, primary teacher, বেতন বৃদ্ধি, pay scale hike, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, Partha Chatterjee, পশ্চিমবঙ্গ, west bengal

এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার একদিনের মধ্যেই বেতন বাড়নোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী,শিক্ষকদের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে বেড়ে হল ৩৬০০ টাকা। বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জরুরি সভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ৩২০০ বা ৩৬০০ টাকার মধ্যে গ্রেড পে রাখার ভাবনা রয়েছে।এ জন্য তিন সদস্যের কমিটিও তিনি ঘোষণা করেন। তাঁদের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রকে পাঠানো হবে বলেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেতন বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য শিক্ষা দফতর।

Advertisment

শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার গ্রেড পে বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়ার পর আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অনশনকারীরা মন্ত্রীর মুখের কথা বিশ্বাস করতে রাজি ছিলেন না। বেতন বৃদ্ধির সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না হলে কোনওভাবেই তাঁরা অনশন তুলবেন না বলে জানিয়ে দেন। তারপর শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, এদিনই আবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনল (স্যাট)।

শিক্ষা মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ওই ঘোষণার সংয় আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অনশনকারীরা মন্ত্রীর মুখের কথা বিশ্বাস করতে রাজি ছিল না। বেতন বৃদ্ধির সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না হলে কোনো ভাবেই তারা অনশন তুলবেন না বলে জানিয়ে দেন। তারপর শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

ন্যায্য বেতনের দাবিতে ও বেআইনিভাবে বদলির প্রতিবাদে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে ১২ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। গত সপ্তাহের শনিবার শিক্ষমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, দাবি অনুযায়ী বেতন দেওয়া এখনই সম্ভব না। এরপরই আরও চাপের মুখে পড়ে সরকার। অনশনের নয় দিনের মাথায় ফের ১২ ঘণ্টার অনশনের ডাক দিয়েছিল বাংলার সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, কেন্দ্রের মত বেতন চাইলে কেন্দ্রে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্য ক্ষুদ্ধ হয়ে যান শিক্ষামহল থেকে রাজনৈতিক মহল। কাজেই সরকারের ওপর বাড়তে থাকে চাপ। অবশেষে শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির আমরন অনশনে নতিস্বীকার করতে হল মমতা সরকারকে।

Advertisment