/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/corona-1-4.jpg)
বাংলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে।
West Bengal Today News Update 18 july: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একদিনে সংক্রমণ ছাড়াল ২ হাজারের ওপর। এদিকে যখন কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া সহ নানা জেলায় সংক্রমণের থাবা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে তখন ঝাড়গ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ২৮-এ আটকে রয়েছে। অন্য় দিকে এদিন যুবযোদ্ধাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিইএসই বিজ্ঞাপণ দিয়ে বোঝাতে চেয়েছে বিদ্য়ুতের বিলে তারা কোনও ভুল করেনি। কিন্তু রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তবু অসন্তুষ্ট ওই সংস্থার ওপর।
রাজ্যে ফের নয়া রেকর্ড, করোনা সংক্রমণ ২
হাজার ছাড়াল
ফের রেকর্ড বাংলায়। ১৮ জুলাইয়ের সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে ২,১৯৮ জন। যত দিন যাচ্ছে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৬৪৯জন। তাছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৫৪ জন, হাওড়ায় ১৬০ ও হুগলিতে ১০৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্য়ু হয়েছে ২৭ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২,৪০৭ জন।
বিশিষ্ট চিকিৎসকরা বারে বারেই দাবি করছে টেস্টের সংখ্য়া বাড়ানোর। ১৮ জুলাই ১৩,৪৬৫ জনের টেস্ট করা হয়েছিল। এদিকে কলকাতার কনটেনমেন্ট জোন ও রাজ্য়ের বিভিন্ন শহরের নানা জায়গায় লকডাউন চলছে। সোমবার আরও কিছু শহরে নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিতে লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, যে ভাবে অনেকেই এখনও মুখে মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি করে চলেছে অনবরত। অভিযোগ উঠছে বাজারগুলিতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরবত্ব বিধি।
করোনায় বাংলাকে দিশা দেখাচ্ছে ঝাড়গ্রাম
করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো, বিশেষত দিন প্রতি পরীক্ষা আরও বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। সরকারি বুলেটিনের শেষ হিসেবে আক্রান্ত সংখ্যার নিরিখে কলকাতার পরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা, তারপর হাওড়া। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলী ও মালদায় হাজার টোপকেছে আক্রান্তের সংখ্যা। একমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পঞ্চাশ ছোঁয়নি, ২৮। কালিম্পং ৫৯। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের দাবি, লকডাউনের সময় কড়া পদক্ষেপ, তারপর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সক্রিয়তার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সরকারি বুলেটিন দেখলে এটা স্পষ্ট যত সংখ্যায় টেস্ট বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে ততই। বিগত ৪ দিনের হিসাবেই তা অনেকটা পরিস্কার। ১৪ জুলাই পরীক্ষা হয়েছে ১১,১০২ জনের, আক্রান্ত ১,৩৯০। ১৫ জুলাই পরীক্ষা হয় ১১,৩৮৮ জনের, এর মধ্যে আক্রান্ত ১,৫৮৯। ১৬ জুলাই ১৩,১০৮ জনের পরীক্ষা হয় এবং আক্রান্ত ১,৬৯০। ১৭ জুলাই টেস্টের সংখ্যা১৩,২৪০, আক্রান্ত ১,৮৯৫। বিশিষ্ট চিকিৎসকরা দাবি করছেন, একমাত্র উপায় টেস্ট, আর টেস্ট।
আরও পড়ুন- সিইএসসি-র বিজ্ঞাপনে অসন্তুষ্ট বিদ্যুৎমন্ত্রী, ফের ব্যাখ্যা দিয়ে জানাতে নির্দেশ
শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের উপদেষ্টা ডা: পূর্ণব্রত গুণ বলেন, "আমাদের রাজ্যে প্রায় ১৫ হাজার টেস্টের ক্যাপাসিটি আছে। আরও টেস্ট করলে ভাল হত। তবে কলকাতা ও হাওড়ার থেকে গ্রামের দিকে করোনা আক্রান্ত কম হচ্ছে। সেখানে যাদের হয়েছে অনেকটাই দিল্লি, মুম্বাই থেকে আসা লোকেদের জন্য।"
যেখানে একই রাজ্যে অন্য জেলাগুলিতে হুহু করে বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা, সেখানে ঝাড়গ্রাম কী করে এটা সম্ভব করল? ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রাণী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, “লকডাউনের সময় আমাদের কড়া নজরদারি ছিল। বর্ডারগুলি সিল ছিল। ঝাড়খন্ড ও ওড়িশা সীমান্তে কড়া নজরদারি ছিল। কাউকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছিলাম না। কেউ ঢুকলে তাঁকে আলাদা করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হত। আমাদের এখানে যত পরিযায়ী শ্রমিক এসেছিলেন, তাঁদের কম্পালসারি কোয়ারেন্টাইনে রেখেছিলাম। বেশিরভাগ জায়গায় টেস্ট করিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম”। জেলার চিকিৎসকদের একাংশ টেস্ট কম হচ্ছে বলে কানাঘুষো করলেও তা মানতে নারাজ জেলাশাসক। এই চিকিৎসকদের পরামর্শ, তাহলে ঝাড়গ্রামকে মডেল করুক রাজ্য় রাজ্য় সরকার।
আরও পড়ুন- সপরিবারে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ, বিস্ফোরক দাবি অর্জুনের
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারে বারে টেস্ট বাড়ানোর কথা বলছেন। আয়েষা রাণী আরও বলেন, "আমরা টেস্টিং-এর ওপর জোর দিয়েছি। আমাদের ছোট জেলা, জনসংখ্যা ১১ লক্ষ। তা সত্বেও প্রায় ১০হাজার টেস্ট করা হয়েছে। ৩হাজার লাল প্যাথ ল্যাবে টেস্ট করেছিলাম। তারপর প্রায় ৭ হাজার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কেলেজে টেস্ট করেছি। ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। দুটো মোবাইল ভ্যান রয়েছে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। ঝাড়গ্রামে ট্রুনাট পদ্ধতিতে টেস্ট হয়। এখানে সন্দেহ জনক মনে হলে দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষা করতে হয় মেদিনীপুরে। ট্রুনাট পদ্ধতিতে ৪৩৩ জনের টেস্ট হয়েছে। ৭৫ বেডের কোভিড হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন। এখন প্রতিদিন গড়ে ২০০ টেস্ট হচ্ছে। জেলায় সেফ হোম আছে ৬টা। ১৫০ বেড।"
আরও পড়ুন- সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেস দেখার দরকার নেই: অভিষেক
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের ডা: সজল বিশ্বাস বলেন, "নাম্বার অব টেস্ট বাড়ানো উচিত। ধামাচাপা দেওয়ার প্রবণতা, ঠিক নয়। টেস্ট না করার পরিণতি মারাত্মক হবে। পরিকাঠামো বাড়ানো দরকার। ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ২ হাজার টেস্ট হয়নি। অন্য দেশগুলিতে ১০ লক্ষে ৪০ হাজার হতে পারে।" অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, "প্রতি ঘরে ঘরে কোভিড উপসর্গ। টেস্ট করো, আইসোলেট করো। কেস যত বাড়ছে টেস্ট তত বাড়াতে হবে। এটাই নিয়ম। তা রাজ্য সরকার করছে না।" তাঁর অভিযোগ, "সংখ্যা কম দেখালে আমরা ভাল আছি। টেস্ট কমাও কেসের সংখ্যা কমাও। এটা ঠিক নয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেস দেখার
দরকার নেই: অভিষেক
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/abhishek-759.jpg)
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। এরইমধ্যে পাঁচ লক্ষ যুবযোদ্ধাকে ৫০ লক্ষ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেও সরাসরি ১০টি পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন। তবে যুবযোদ্ধারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কীনা তা শুধু অপ্রাসঙ্গিক নয় তা জানতে চাই না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন যুবশক্তির কর্তা।
১১ জুন বাংলার যুব শক্তির সূচনা হয়েছিল। তখন লক্ষ্য ছিল ১ লক্ষ যুবযোদ্ধাদের নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। শনিবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, "সংখ্যাটা এক বা দুই, তিনে নেই এখন সাড়ে পাঁচ লক্ষ।" যুবযোদ্ধারা কী করবেন তার দিকনির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, "এক একজন যুবযোদ্ধা ১০টি পরিবারের দায়িত্ব নেবেন। করোনা, আমফান বা যে কোনও সমস্যা হলে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। যুবযোদ্ধারাই ঠিক করবে সেই ১০টি পরিবার। বাইরে না বেরিয়ে বাড়িতে থেকেই ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। তাঁদের সাহায্য করতে আপনাদের কোনও সমস্যা হলে টিমের অন্যদের জানান। তাছাড়া একটা পোর্টাল করা হবে। সেখানে জানাতে পারেন। আমরা দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।" অভিষেক জানিয়ে দেন, "আমি নিজে ১০টি পরিবারের দায়িত্ব নেব। সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।"
আরও পড়ুন- করোনায় বাংলাকে দিশা দেখাচ্ছে ঝাড়গ্রাম
যুবযোদ্ধাদের কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না বলেও এদিন ঘোষণা করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "যুবযোদ্ধারা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকুন তা অপ্রাসঙ্গিক, আমি জানতে চাই না। আমার জানার কোনও ইচ্ছা নেই। রাজনীতি পরে আগে আমাদের রাজ্য, আমাদের মাটি। তৃণমূল না হলে অন্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেও যুবযোদ্ধা হতে পারেন। এখন সংকীর্ণ মানসিকতার কোনও জায়গা নেই। সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেস দেখার দরকার নেই। তবে আপনাদের যদি মনে হয় রাজনীতি করতে চান, সেই যোগ্যতা আছে, কিন্তু জায়গা পাচ্ছেন না। আমি কথা দিচ্ছি সেই জায়গা আমি দেব। প্রয়োজনে আমার জায়গা আমি ছেড়ে দেব।"
আরও পড়ুন- তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ জারি, পদ খোয়ালেন সোনা
এক প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, "পাঁচ লক্ষ যুবযোদ্ধা মানে ৫০ লক্ষ পরিবার, এটা বেড়ে ৬ লক্ষ হলে পরিবার হবে ৬০ লক্ষ, ৭ লক্ষ হলে পরিবার বেড়ে হবে ৭০ লক্ষ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পরিবার পিছু চার জন ধরলে প্রথম ধাপেই ২ কোটি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে যুবযোদ্ধারা। যারা কাজ করবে তাঁদের যথাযথ সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
সিইএসসি-র বিজ্ঞাপনে অসন্তুষ্ট বিদ্যুৎমন্ত্রী, ফের
ব্যাখ্যা দিয়ে জানাতে নির্দেশ
সিইএসসি-র বিদ্যুতের বিল কেন বেশি এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কলকাতাবাসী। ক্ষোভ দেখা গিয়েছে মন্ত্রী থেকে জনতা, নেতা থেকে অভিনেতার মধ্যে। খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সিইএসি-র এই বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁর নিজের বাড়ির বিলও বেশি এসেছে বলে মনে করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এদিকে শনিবার এই বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা বিজ্ঞাপণ দিয়ে জানিয়ে দেয় তারা কোনও বাড়তি বিল নিচ্ছে না। তাতেও কিন্তু মানুষের ক্ষোভ কমেনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শনিবার ফের তাদের বলেছেন, ওই বিজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না। ব্যাখ্যা দিয়ে ফের বিজ্ঞাপণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সিইএসসি-কে।
আরও পড়ুন- করোনায় বাংলাকে দিশা দেখাচ্ছে ঝাড়গ্রাম
সাধারণ মানুষ সিইএসসি-র কাছে বিল নিয়ে জানতে চেয়েছে কেন এত টাকা বেড়ে গেল। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা বিদ্যুতের বিল বেশি হওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলছেন, "গত মাসে আমার বাড়িতে বিল এসেছে ১১,৬৫০টাকা। এই মাসে বিল এসেছে ১০,৪৭০টাকা। আমি যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি তাতে এত টাকা বিল হতে পারে না। ওদের বলেছি বিষয়টা খতিয়ে দেখতে।" টলিউড তারকা অঙ্কুশ হাজরা টুইট করে লিখেছেন, "যে ভাবে বিদ্যুতের বিল আসছে তাতে মানুষ সমস্যায় পড়ছে। ওই বিলের টাকার অঙ্ক কারও কারও কাছে একমাসের বেতনের টাকার সমান। এটা খতিয়ে দেখুক সিইএসসি।"
আরও পড়ুন- সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেস দেখার দরকার নেই: অভিষেক
ক্ষোভ-বিক্ষোভ, বিদ্যুৎমন্ত্রীর নির্দেশের পর শনিবার বিজ্ঞাপণ দিয়ে ক্যালকাটা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন জানিয়ে দেয়, "আমরা বাড়তি চার্জ নিচ্ছি না। কোভিড সমস্যা লকডাউন পিরিয়ডে দুমাস যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছিল তার কম বিল পাঠানো হয়েছিল। এমাসের বিলের সঙ্গে গত দুমাসের অনাদায়ী যোগ করা হয়েছে। গ্রাহকরা ইচ্ছে করলে এখন ৫০ শতাংশ, পরে দুমাসে ২৫ শতাংশ করে দিতে পারে।" স্ল্যাবের সব সুবিধা বিলে দেওয়া হয়েছে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ জারি, পদ খোয়ালেন সোনা
তবে সিইএসসি-র বিলে যে মানুষ খুশি হয়নি, তা মেনে নিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওরা বলছে আমরা তিন ভাগে ভাগ করে দিচ্ছি। কিন্তু কোনও বিলে সেটা দেখা যাচ্ছে না। আমি বলাতে আজ বিজ্ঞাপণ দিয়ে জানিয়েছে। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনের পরও মানুষ খুশি হয়নি। স্ল্যাবে না পড়লে এত টাকা বিল আসত না। আমি বলেছি এটা করলে হবে না। মাস অনুযায়ী ইউনিট ভাগ করতে হবে। আমি আসল স্ল্যাব বুঝতে পারছি না। কত বেশি বিল হয়েছিল তাও বুঝতে পারছি না। স্ল্যাবের সুবিধা পেতে হবে। ফের ব্যাখ্যা করে সিইএসসি-কে জানাতে হবে।" বিদ্যুৎমন্ত্রীর সাফ কথা, "আমরাও তো মিটার 'রিড' করতে পারিনি। কোথাও তো কোনও ক্ষোভ হচ্ছে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন