করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্য়মিকের বাকি পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হল। এদিকে, রাজ্য়ে পরিবহণ দুর্ভোগ মেটাতে বাস নামাতে বেসরকারি বাস-মিনিবাস পিছু তিন মাস ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অন্য়দিকে, আগামী ১ জুলাই থেকে চালু হতে পারে কলকাতা মেট্রো রেল। আবার বিমান চলাচল নিয়ে মোদী সরকারকে দুষলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। বাংলার এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এক এক করে...
উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা বাতিল
বাতিল উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। তাহলে কীভাবে হবে মূল্যায়ণ? তা নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাসংসদ আলোচনা করছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
*পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাসূচী অনুযায়ী ২,৬ এবং ৮ তারিখের বাকি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেগুলি হবে না বলেই জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।
*শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি ও উচ্চ শিক্ষা সংসদের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা দফতর বাতিল করছে ২, ৬, ৮ তারিখের পরীক্ষা।
*এই বাতিল পরীক্ষার মূল্যায়ণ কীভাবে হবে সে বিষয়ে বিধি তৈরি করছে উচ্চ শিক্ষা সংসদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
বেসরকারি বাস-মিনিবাসের জন্য় বড় ঘোষণা মমতার
বাংলায় সব বেসরকারি বাস-মিনিবাসকে রাস্তায় নামাতে বিশেষ পদক্ষেপ করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বাস-মিনিবাস পিছু তিন মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানালেন মমতা। এজন্য় সরকারের খরচ হবে ২৭ কোটি টাকা। তবে এখনই বাস ভাড়া বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
*এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছেন, ”কলকাতায় আরও ৫০০ সরকারি বাস নামবে ১ জুলাই থেকে। মোট ৬ হাজার বেসরকারি বাস রয়েছে। চলছে আড়াই হাজার। আমরা মনে করি, ভাড়া বাড়ানো ঠিক হবে না এখন। আমি অনুরোধ করব যেন, সব বাস রাস্তায় নামানো হয়। ওদের অসুবিধা বুঝতে পারছি। কেন্দ্র সব দাম বাড়াচ্ছে, আর রাজ্য়কে দোষারোপ করা হচ্ছে”।
* এরপর মমতা ঘোষণা করেন, ”বাস-মিনিবাস যাতে চালানো যায়, সেজন্য় ১ জুলাই থেকে ৬ হাজার বেসরকারি বাস-মিনিবাস পিছু তিনমাস ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এবার থেকে স্বাস্থ্য়সাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে চালক-কন্ডাক্টরদের”। (বিস্তারিত পড়ুন-বাস-মিনিবাস পিছু ৩ মাসে ১৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, ঘোষণা মমতার)
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
মেট্রো চালু ১ জুলাই থেকেই? ইঙ্গিত মমতার
করোনায় রাজ্য়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে আগামী ১ জুলাই থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
*মেট্রো চালু প্রসঙ্গে এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, ”কলকাতা মেট্রোর সঙ্গে কথা বলছি। যত আসন, তত সংখ্য়ক টিকিট যদি বিক্রি করতে পারে, যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে, কীভাবে করা যায় দেখে নিক, তাহলে ১ জুলাই থেকে মেট্রো চালু করা যেতে পারে”।
* মমতা বলেছেন, ''আমি চাই, ১ জুলাই থেকে মেট্রো চালু হোক''।
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
বিমান চলাচল নিয়ে কেন্দ্রকে দুষলেন মমতা
করোনা পরিস্থিতিতে বিমান চলাচলে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে না বলে সোচ্চার হলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এ নিয়ে কেন্দ্রকে রাজ্য়ের মুখ্য়সচিব চিঠি দেবেন বলে জানালেন মমতা।
*এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় কেন্দ্রকে দুষে বলেন, ”করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এদিকে, অনেক বিমান আসছে, কোনওরকম প্রোটোকল মানা হচ্ছে না। বিদেশ থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করুন। মাসে একবার চললে সেটা ঠিক আছে। মুখ্য়সচিব কেন্দ্রকে এ ব্য়াপারে চিঠি দেবে। যেখানে করোনা সংক্রমণ বেশি,সেখান থেকে ঘরোয়া বিমান আসা বন্ধ করা হোক জুলাই পর্যন্ত”।
*এদিকে, করোনায় লকডাউনে বাংলায় নাইট কার্ফুর সময় বদল করা হল। এবার থেকে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাংলায় নাইট কার্ফু থাকবে, জানিয়েছেন মমতা।
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান নিয়ে অকারণ রাজনীতি করছে তৃণমূল: দিলীপ
দেশের ৬ রাজ্য়ের ১১৬টি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানে রয়েছে এই জেলাগুলি। যে জেলাগুলিতে ২৫ হাজার শ্রমিক ফেরত গিয়েছে সেই সব জেলাগুলিকে এই প্রকল্পে রাখা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে এ রাজ্যের কোনও জেলার নাম নেই। তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এর ফলে রাজ্যের ২০টি জেলার পরিযায়ী শ্রমকিরা বঞ্চিত হবেন।”
*যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফের বলেন, “রাজ্য কোনও তালিকা কেন্দ্রকে দেয়নি তাই কোনও জেলার নাম আসেনি ওই প্রকল্পে। এর দায় সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের।”
*অভিষেক বলেছেন, “দুদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার চিঠি লিখে রাজ্যের কাছে জেলার নাম ও ডিটেইলস চেয়েছে। রাজ্য পাঠায়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তাঁরা যদি তথ্য নেই বলে তাহলে এক ঘন্টার মধ্যে আমি তথ্য দিয়ে দেব।” একই সঙ্গে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের আরও দাবি, “রেলের কাছে চার-পাঁচ লাখ পরযায়ী শ্রমিকের তালিকা তো রয়েছে। অন্য রাজ্যেও সেই তালিকা রয়েছে।” (বিস্তারিত পড়ুন-গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান নিয়ে অকারণ রাজনীতি করছে তৃণমূল: দিলীপ)
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছে ত্রাণে দুর্নীতি-স্বজনপোষণ-রাজনীতিকরণ: ধনকড়
আমফান ত্রাণ ঘিরে ফের রাজ্যপালের নিশানায় মমতা সরকার। 'দুর্গতের তালিকা তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও আইনি অধিকার নেই। ত্রাণকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও রাজনীতিকরণ রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে' বলে এদিন টুইটে দাবি করেন জগদীপ ধনকড়।
ত্রাণের দাবিতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বিডিও-দের ঘেরাও করা হয়েছে, পূর্বে মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
Protests @MamataOfficial over corruption, nepotism and politicization #Amphan relief distribution are rocking the State.
Worrisome Law and order scenario in East Midnapore, South and North 24 Parganas as BDO offices are being gheraoed. (1/4)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 26, 2020
টুইটে রাজ্যপাল ধনকড় লিখেছেন-
* ত্রাণ কারা পাবেন তাদের তালিকা তৈরির কোনও আইনি আধিকার রাজনৈতিক দলের নেই: রাজ্যপাল
* 'এই ধরনের কাজ আসলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা'
* 'এই ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করা না হলে তা আরও কেলেঙ্কারির জন্ম দেবে, তাই সময়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন'
* 'ত্রাণ দুর্নীতির সঙ্গে সরকারি আধিকারিক জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি দেওয়া উচিত'
* 'ক্ষতিগ্রস্ত নন, অথচ ত্রাণ পেয়েছেন এমন লোকেদের থেকে সবকিছু ফিরিয়ে নেওয়া হোক'
* 'ত্রাণ যারা পেলেন তাদের নামের তালিকা পঞ্চায়েত দফতরে রাখতে হবে'
* 'ত্রাণবিলিতে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু, তা পালন করা হয়নি'
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী ত্রাণ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ত্রাণবিলি নিয়ে আগেই 'রাজনীতি' হয়েছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। যদিও ত্রাণ নিয়ে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হতদরিদ্র মানুষ একটা ত্রিপল চেয়ে পায়নি। বর্ষায় মাথা ঢাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। অথচ পঞ্চায়েতের সদস্যরা নিজে শুধু নন, আত্মীয়-স্বজনের নামেও ত্রাণের হাজার হাজার টাকা পকেটে পুড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে রীতিমতো ফুঁসছেন আমফানে ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত বুধবার করোনা ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নবান্ন সভাঘরে সর্বদল বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বৈঠক শেষে মমতা জানান,'আমফানে একাধিক দলের সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমফানে ত্রাণ নিয়ে বঞ্চনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।'
বাংলার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে