ধর্ষকদের সবক শেখাতে চান তিনি। কোনও আপস নয়, ‘খারাপ লোকদের’ কঠোর সাজা দিতে তিনি তৈরি। হায়দরাবাদকাণ্ডের পর থেকেই নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি যখন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে দেশের আনাচে কানাচে, ঠিক সেই আবহে ‘দুষ্টু লোক বিনাশ’ করতে এগিয়ে এলেন গ্রাম বাংলার এক যুবক। নাম চিত্তরঞ্জন দাস। পেশায় গাড়ির চালক। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে রাষ্ট্রপতিকে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে বাংলার ওই যুবকের একটাই আর্জি, ‘আমি ফাঁসুড়ে হতে চাই’।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা সেই চিঠি। ছবি: মানস জানা।
কেন এমন আর্জি?
মহিষাদলের ঘাগরা গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের চিত্তরঞ্জন দাস সংবাদ মাধ্যমে জেনেছেন যে দিল্লির তিহার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ফাঁসুড়ের অভাবে ভুগছে এবং নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের জন্য উত্তরপ্রদেশের কারা বিভাগের কাছে ফাঁসুড়ে চেয়ে আর্জি করেছে। এরপরই বিশেষভাবে উদ্যোগী হন চিত্তরঞ্জন। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমি গাড়ির চালক। তবুও বলছি, গাড়িচালকদের নোংরামি দিন দিন বাড়ছে। সব রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। খারাপ লোকের কঠোর সাজা হওয়া দরকার। ফাঁসি দেওয়ার জন্য তৈরি আছি। এমন অপরাধীকে জেলে রাখার থেকে মেরে দেওয়াই ভাল। তাই রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। মন থেকে চাইছি, এমন কাজ করতে আমি ইচ্ছুক। বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে চাই’’।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমা চাইব না’, লঙ্কাকাণ্ডের মাঝে সংসদে সাফ জবাব রাহুলের
আরও পড়ুন: ক্যাব-এনআরসি নিয়ে গণ আন্দোলনের ডাক মমতার, রবিবার থেকে রাজ্যজুড়ে পথে তৃণমূল
জানা যাচ্ছে, ছেলের এমন আর্জিতে সায় দিয়েছেন তাঁর মাও। এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জনের মা বলেন, ‘‘সমাজে দুষ্টু লোক থাকার থেকে না থাকাই ভাল। আমার ছেলে আবেদন করেছে। আশীর্বাদ করছি ওকে’’।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনের পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর থেকেই ধর্ষণে অপরাধীদের কঠোর সাজার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে গোটা দেশে। এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে নির্ভয়কাণ্ডে অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সরব দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। এই আবহে বঙ্গসন্তানের ফাঁসুড়ে হওয়ার আর্জি নয়া মাত্রা যোগ করল।