SSC Verdict News:সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে এরাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। জেলায়-জেলায় কোথাও ৫০০ কোথাও ৭০০ কোথাওবা হাজারেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক এই শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় স্বভাবতই অতান্তরে পড়ে গিয়েছে একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল পরিচালনা নিয়েই ঘোরতর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের হাজার-হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষেরও। এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায় স্বভাবতই হতাশ তিনি। তবে তিনি তাঁর পুরনো চাকরিতেই ফিরে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ (Kuheli Ghosh)। সরকারি চাকরি জীবনের শুরুতে প্রথম বেশ কয়েক বছর তিনি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তবে ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)-এর প্যানেলে ভুক্ত হয়ে হাইস্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে এসএসসি-র মাধ্যমে হাইস্কুলে চাকরি পান তিনি। তাঁর দাবি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্যানেলভুক্ত হয়ে তিনিও হাইস্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষেরও চাকরি গিয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে তিনি বিশদে কিছু বলতে চাননি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:তাবড় রাজ্যকে টেক্কা! 'সেরার সেরা' বাংলা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষে রাজ্যের দুই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে ফোনে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ বলেছেন, "এই রায় নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। কোর্টের অর্ডারে স্ববিরোধিতা রয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা সারাদিন অর্ডার কপি পড়ে দেখেছেন। কোর্ট বলেছে চাইলে পুরনো চাকরিতেও ফেরা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমিও আগে প্রাইমারি স্কুলে ছিলাম, সেখানেই ফিরে যাব। ২০১৪ সালে আমি প্রাইমরি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলাম। তারপর ২০১৯ সালে এসএসসি-র মাধ্যমে চাকরি পাই। আইনত যা ব্যবস্থা করার আমরা আগেও সেটা করেছি, এখনও করব।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today:টানা কয়েকদিন ঝড়-জলের পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, আবহাওয়ায় জমাটি বদল কবে থেকে?