করোনা আবহেই বাংলায় প্রথমবার ভার্চুয়াল সভা করে একুশের বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন অমিত শাহ। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে সিএএ ইস্য়ু-মমতাকে তুলোধনা করলেন শাহ। এদিকে, মোদী সেনাপতির বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানাতে মাঠে নামল জোড়াফুল শিবির। দিলীপের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ। অন্য়দিকে, তথ্য়-প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য় নয়া ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী। দু'দিন বাদেই রাজ্য়ে ঢুকছে বর্ষা। দিনের এমনই সব রাজ্য়ের গুরুত্বপূর্ণ খবর এক এক করে পড়ে নিন...
করোনা এক্সপ্রেসই বাংলায় তৃণমূলের প্রস্থানের পথ প্রশস্ত করবে: অমিত শাহ
২১শের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে একদিকে বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়া, অন্য়দিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি, দুর্নীতি নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। গত ৬ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের খতিয়ান দেওয়ার সঙ্গেই তৃণমূল সরকারের থেকেও গত ১০ বছরের কাজের হিসাব চেয়েছেন শাহ। তাঁর কথায়, সিএএ থেকে শ্রমিক স্পেশালের প্রতিবাদ করেছেন মমতা- যা তাঁর সরকারের প্রস্থান ঘটাবে।
জনসংবাদ র্যালিতে এদিন এক ঘন্টারও বেশি সময় বক্তব্য় রাখেন অমিত শাহ। তিনি বলেন...
* 'মতুয়া, নমঃশূদ্র ও বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এদেশে শরণার্থী হয়ে এসেছেন তাঁদের কেন বিরোধিতা করছেন (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)? উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের সুবিধা মোদী সরকার দেবেই।'
* পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল চালাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু অবাক করা বিষয় যে ওই ট্রেনকে 'করোনা স্পেশাল' বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা দিদি। এগুলোই তৃণমূল সরকারকে এক্সিট রুট দেখাবে।'
* 'আগামিকাল সভা করেআপনিও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আপনার ১০ বছরের কাজের হিসাব দিন। কিন্তু সেখানে আবার বিজেপি কর্মীদের হত্যার হিসাব দেবে না।'
* 'আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে দেশের গরীব মানুষ উপকৃত। কিন্তু বাংলায় মোদীজির জনপ্রিয়তা কমাতে এই প্রকল্প লাগু করছে না মমতা সরকার'
*লোকসভায় বাংলার ১৮ আসনে বিজেপির জয়ই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের :অমিত শাহ
মমতা সরকারের রাজনীতির জন্য়ই বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শাহের। তাঁর অভিযোগ, ' রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলার কৃষক এবং সাধারণ মানুষকে এই সমস্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। দিদি, আপনি শনিবার তালিকা দিন, কেন্দ্র সরকার সোমবার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'শাহ আপনি তৃণমূলের প্রস্থানের স্বপ্ন দেখছেন, কিন্তু চিনারা কবে প্রস্থান করবে?'
সিএএ প্রতিবাদ থেকে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরা ইস্যু- তৃণমূল সরকারের অবস্থানকে চরম কটাক্ষ করেছেন অমিত শাহ। জানিয়েছেন, মোদী সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতাই আগামীতে মমতা সরকারের এক্সিট রুট হবে। জনসংবাদ র্যালি শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিকে 'স্বপ্ন' বলে দাবি করেছেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের ভূখণ্ড থেকে কবে চিনা সেনা সরবে- সেই প্রশ্ন তুলে ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের জবাব দাবি করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। ক্ষমতায় এলে রাজ্যের সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে 'সোনার বাংলা' গঠনের ডাক দিয়েছেন শাহ। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গ তুলে দলের টুইটার হ্যান্ডেলে শাহের আশ্বাসকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। 'বাংলার মানুষ অন্ধ নয়, ফাঁদে পা দেবেন না' বলে জানিয়েছেন সাংসদ নুসরত জাহান।
টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'বক্তব্যে কোনও নতুনত্ব নেই। গোটাটাই আশঙ্কার সর্বস্ব ও ভিত্তিহীন। বাংলা থেকে তৃণমূলের প্রস্থানের (এক্সিট) স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আরও একবার আমি ওনার কাছে জানতে চাই- আমাদের ভূখন্ড থেকে কবে চিনা সেনারা সরবে।'
As usual the speech of @AmitShah Ji was all rhetoric and no substance.
Nonetheless since he has talked about his dream of seeing ‘EXIT’ of TMC, I would like to ask him one more time - “When are the Chinese EXITING our territory”#BengalRejectsAmitShah
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) June 9, 2020
'বাংলার সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলা হচ্ছে। তিনি কি মনে পারছেন না যে, তাঁর সামনেই তাঁর লোকেরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। সেই মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' শাহকে কটাক্ষ তৃণমূলের।
.@AmitShah, someone who's himself put the inclusivity of India in danger, talks about 'restoring' the culture of #Bengal. Doesn't he remember, it was @MamataOfficial who restored statue of Vidya Sagar, vandalised by his men in front of his own eyes.#BengalRejectsAmitShah pic.twitter.com/MO8LVl5OXv
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) June 9, 2020
বসিরহাটের সাংসদ শাহের দাবিকে 'ফাঁদ' বলে কটাক্ষ করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন যে, '২০১৪ সালে আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরই বিমুদ্রাকরণ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, সিএএ-এনআরসি, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় অব্যবস্থা, পরিযায়ীদের তাচ্ছিল্য দেখেছি। বাংলার মানুষ অন্ধ নয় যে ফাঁদে পা দেবেন।'
In 2014 there were Promises of Achhe Din by virtual rally, then came Demonetization, Rising Inflation, Unemployment, NRC/CAA, mismanaged Covid19 issue, Ignored migrant workers’ crisis. People of Bengal are not blind to fall for the trap #BengalRejectsAmitShah#বাংলাচায়নাঅমিত_শাহ pic.twitter.com/NYdX3HS5pL
— Nusrat (@nusratchirps) June 9, 2020
এদিনের অমিত শাহের বক্তৃতা নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এই হচ্ছে বিজেপি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর ঘূর্ণিঝড়ে যখন রাজ্যের মানুষ বিধ্বস্ত, তখন দিল্লি থেকে ভোটের ঘণ্টা বাজানো হচ্ছে। বাংলার জনগণ দেখছেন, কারা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে আর কারা মানুষের পাশে থাকে।'
.@AmitShah's priorities are crystal clear even when the state is battling with a pandemic and a natural disaster. Bengal, remember the face of this man who is just hungry for your votes and nothing else. https://t.co/yf0M1uXKVd#BengalRejectsAmitShah
— Partha Chatterjee (@itspcofficial) June 9, 2020
*শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনকে কেন্দ্র করে এর আগে কেন্দ্রী-রাজ্য় তরজা চরমে পৌঁছে ছিল।
* পরিকল্পনা ছা়ড়াই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানোয় তীব্র প্রতিবাদ করে তৃণমূল।
* পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল চালাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু অবাক করা বিষয় যে ওই ট্রেনকে করোনা স্পেশাল বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা দিদি: অমিত শাহ
* এগুলোই তৃণমূল সরকারকে এক্সিট রুট দেখাবে: অমিত শাহ
* 'সিএএ প্রতিবাদই ভোটে মমতা সরকারকেই উদ্বাস্তু করে দেবে বাংলার মানুষ'
পরের বছর বাংলায় বিধানসভা ভোট। বাংলা দখলই গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ। মনে করা হচ্ছে এদিন শাহের ভার্চুয়াল ব়্যালির মাধ্যমে সেই বাংলায় ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল পদ্ম বাহিনী।
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন
তথ্য় প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য় মমতার নয়া ঘোষণা
তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য সুখবর। কর্মভূমি ওয়েব পোর্টাল চালু করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার টুইটারে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
*টুইটারে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরতদের জন্য কর্মভূমি প্রকল্প চালু হল। কোভিড-১৯ এর কারণে ঘরে ফিরতে হয়েছে ও চাকরি বদলে আগ্রহী। এবার http://karmabhumi.nltr.org দিয়েই বাংলায় অবস্থিত আইটি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।’
*করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জারি করা লকডাউনে বিপুল মন্দার সামনে দেশের অর্থনীতি। মন্দার সম্মুখীন দেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রগুলো।
* ইতিমধ্যেই বহু দেশি-বিদেশি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করেছে। আগামী কয়েক মাসে আরও ছাঁটাইয়ের জেরে অন্তত দেড় থেকে দুই লক্ষ মানুষ কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
* এ দেশের আইটি ক্ষেত্রে অন্তত ৪৫-৫০ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। তার মধ্যে ১০-১২ লক্ষ মানুষ কাজ করেন ছোট তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে। এঁরাই বিপদে পড়ছেন বেশি। (বিস্তারিত পড়ুন- মমতার নয়া ঘোষণা, তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সুখবর)
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন
বাম থেকে রাম, বিজেপিতে অলিম্পিয়ান-প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্য়োতির্ময়ী
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে ফের দলবদল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা অলিম্পিয়ান জ্য়োতির্ময়ী শিকদার। এদিন বাংলায় অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার পর বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে হাতে পদ্ম পতাকা তুলে নেন জ্য়োতির্ময়ী।
* সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন জ্য়োতির্ময়ী শিকদার।
* দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান প্রাক্তন সাংসদের।
* ক'দিন আগেই দিলীপের বাড়িতে দেখা গিয়েছিল জ্য়োতির্ময়ীকে।
*তারপর থেকেই প্রাক্তন সাংসদের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা বাড়ে।
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন
দু'দিন বাদেই বাংলায় পা রাখছে বর্ষা
স্বাভাবিক সময়েই এবার বাংলায় পা রাখছে বর্ষা। অন্তত এমনটাই প্রাথমিকভাবে মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সব ঠিক থাকলে আগামী ১১ ও ১২ জুনের মধ্য়েই বাংলার একাংশে ঢুকে পড়বে বর্ষা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে এমনটাই জানালেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস। উল্লেখ্য়, এ রাজ্য়ে বর্ষা ঢোকার এখন স্বাভাবিক সময় ১১ জুন বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা।
*আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, ”আশা করছি, আগামী ১১ ও ১২ জুন রাজ্য়ের কোথাও কোথাও বর্ষা ঢুকবে''।
*'এখন বাংলায় বর্ষার স্বাভাবিক সময় ১১ জুন'
* ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা। (বিস্তারিত পড়ুন, গ্রীষ্মের বিদায়, পরশু থেকেই বাংলায় বর্ষার ইনিংস শুরু)
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন
কলকাতায় একই পরিবারের তিন জনের রহস্য়মৃত্য়ু
কলকাতায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্য়মৃত্য়ু। ঠাকুরপুকুরের সত্য়নারায়ণ পল্লি এলাকায় একটি বাড়ি থেকে বাবা-মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরের দেওয়ালে চক দিয়ে লেখা রয়েছে, 'আমরা তিনজন মারা যাচ্ছি'। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সুইসাইড নোট।
*পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গোবিন্দ কর্মকার (৮০), তাঁর স্ত্রী রানু কর্মকার (৬০), ও ছেলে বুলা কর্মকার (৪৯)।
* বাড়ির দেওয়ালে লেখা, 'আমরা তিনজন মারা যাচ্ছি'।
* একটি কাপে লেখা , 'বিষ থেকে সাবধান'।
* মৃতদের দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
* মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। (বিস্তারিত পড়ুন, ‘আমরা তিনজনই মারা যাচ্ছি’, একই পরিবারের ৩ জনের রহস্য়মৃত্য়ু কলকাতায়)
বাংলার অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর নীচে পড়ুন
করোনায় আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের আরও ১১ কর্মী
কলকাতা পুলিশেও করোনার থাবা অব্য়াহত। কলকাতা পুলিশের আরও ১১ জন কর্মীর শরীরে কোভিড ১৯ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে কলকাতা পুলিশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ২১৭।
* পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আক্রান্ত ১১ জন পুলিশ কর্মীরা কমব্য়াট ফোর্স, পিটিএসের।
* এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের মোট ২১৭ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
* এর আগে, গড়ফা থানার ১৭ জন কর্মীর দেহে মিলেছিল ভাইরাস।
*গত শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেক্সপিয়র সরণি থানার এক কনস্টেবলের মৃত্য়ু হয়েছে। (Read the full story in English)
আগামিকাল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির খুলছে পরীক্ষামূলকভাবে
লকডাউন শিথিল হলেও ভক্তদের জন্য খোলেনি দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির। কবে খুলবে মন্দির? তা নির্ধারণেই বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে খুলছে মা ভবতারিনীর মন্দির। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুরক্ষা বিধি বজায় রেখে কীভাবে মন্দির খোলা যায় তা খতিয়ে দেখা হবে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার একথা জানানো হয়েছে।
রাজ্য় সরকার পয়লা জুন থেকে রাজ্যের সব ধর্মস্থান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও দক্ষিণশ্বের মন্দির খোলা সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়েছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেছিলেন, সরকারি স্তরে আলোচনা করে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
* মন্দির-মসজিদ,সহ ধর্মীয় স্থান খুললেও কোনও জমায়েত করা যাবে না।
* কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব।
* মন্দিরের ভিতরে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।
* ধর্মস্থানে প্রবেশ পথে কর্তৃপক্ষকেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।
দক্ষিণেশ্বরের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এখনও বেলুড় মঠ, তারাপীঠ, কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের দরজাও ভক্তদের জন্য খোলেনি।
দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ বাংলার খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে