আদালতে চরম 'অস্বস্তিতে' ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আরেকটি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সামনে এনেছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। সেই মামলায়
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। খারিজ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষের তরফে করা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের আর্জি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ- কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এছাড়া ২৫ লাখ টাকা করে উভয়কেই জরিমানা করা হয়েছে। ওই অর্থ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- দমছেন না অভিষেক! হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে যেতে পারেন শীর্ষ আদালতে
কেন এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করা হল তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'যোগ্য' চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিনের রায়ের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষের আর্জি গ্রাহ্য হয়নি। খারিজ হয়েছে তাঁদের আবেদন। এতে আদালতের সময় নষ্ট হয়েছে। সম্ভবত সেই কারণেই ওই দু'জনকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।' তবে প্রকৃত কারণ আদালতের রায়ের কপি দেখেই নিশ্চিৎভাবে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শামিম আহমেদ।
আরও পড়ুন- ‘মেয়ে জেলে, শরীরও সঙ্গ দিচ্ছে না’, মুক্তির চেষ্টায় এবার ভীষণ মরিয়া কেষ্ট!
কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল ইডি এবং সিবিআই অভিষেককে জেরা করতে পারবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই আদালতে পাল্টা আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট আবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি ফেরায়। এর মধ্যে হাইকোর্টে মামলাটির এজলাস বদলায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলাটি যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। সেই মামলাতেই বিচারপতি সিনহার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারবত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি।