Wife demands Mamata Banerjee's intervention to find husband missing at Mahakumbh: উত্তরপ্রদেশ সরকার অসহযোগিতা করছে, তাই এবার কুম্ভে হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রী। রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বীরভূমের মল্লারপুরের মঞ্জু রাউত। মহকুমা শাসক তাঁর সেই আবেদনপত্রটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের অনেকের সঙ্গে বাসে বীরভূমের মল্লারপুর থেকে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের উদ্দেশে গিয়েছিলেন বামাপদ রাউত। ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুম্ভস্নান ঘাটের ৪ নম্বর সেক্টরে পৌঁছে যান তিনি। সন্ধেয় ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে একই সঙ্গে সকলের সঙ্গে স্নানও সারেন ওই বৃদ্ধ। ফেরার সময় গ্রামের লোকজন তাঁকে আর দেখতে পাননি। এদিকে বাবার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ছেলে বাপি রাউত গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রয়াগরাজ পৌঁছে যান। ওই দিন বাপি সংশ্লিষ্ট দারাগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্বামীর কোনও খোঁজ পাননি প্রৌঢা় মঞ্জু রাউত। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ এব্যাপারে কোনও সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ রাউতের সফরসঙ্গী দুখু রাউত বলেন, “আমরা তিনটি বাসে ২৫০ জন কুম্ভ গিয়েছিলাম। ২৪ ফেব্রুয়ারি ৪ নম্বর সেক্টরে ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে স্নান সেরে সবাই বাসে ওঠার জন্য কুম্ভমেলা ছেড়ে চলে যান। বাসে উঠে দেখি বামাপদ রাউত নেই। এরপর আমরা ফের মেলা মাঠে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ পাইনি। এরপর মেলা মাঠে পুলিশ ক্যাম্পে গেলে তাঁরা অসহযোগিতা করেন। প্রথমে বলা হয় খোয়াপায়া কেন্দ্রে যেতে। মেলা উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য ওই পুলিশ কেন্দ্র খুলেছিল। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য রেকর্ড করে উদ্ধারের ব্যবস্থা করার কথা ওই পুলিশ কেন্দ্রের। কিন্তু সেখানেও কোনও সহযোগিতা মেলেনি। এরপর তাদের কথা মতো কোতোয়ালি থানা তারপর দারাগঞ্জ থানায় গিয়ে নিখোঁজ অভিযোগ জমা করি। কিন্তু পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না।”
আরও পড়ুন- Leopard: জঙ্গলের প্রকাণ্ড চিতাবাঘ সটান ঠাকুরঘরে, হাড়হিম কাণ্ডে আত্মারাম খাঁচাছাড়া গৃহস্থের
এদিকে নিখোঁজ বামাপদ রাউতের স্ত্রী মঞ্জু রাউত বলেন, “আমার স্বামী প্রান্তিক চাষি। তিনিই বাড়িতে চাষাবাদ করে সংসার চালান। আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ-খবর করি। ছেলে এখনও প্রয়াগরাজে রয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলাম। মহকুমা শাসকের মাধ্যমে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনলাম। ডাকযোগে একই আবেদন জানানো হয়েছে জেলা শাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও। আমার আশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে নিরাশ করবেন না।” অন্যদিকে, মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে জানিয়েছেন, প্রৌঢ়ার আবেদনপত্রটি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:বিরাট সিদ্ধান্ত মমতার, রাজ্যপালের মামলায় হাইকোর্টে আইনজীবী বদলে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী