নজিরবিহীন কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর। 'এগরাকাণ্ডেও ভাইপোর হাত', বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগের ছবি দিয়ে বেনজির কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এগরার খাদিকুল গ্রামে ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে ৮ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর জখম হন ভানু বাগ ওরফে কৃষ্ণপ্রসাদ বাগ নিজেও। বিস্ফোরণের সময়ে ঘটনাস্থলেই ছিলেন তিনি। তবে তারপরেই ছেলে-ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে পড়শি রাজ্য ওড়িশায় পালিয়ে যান তিনি। বিস্ফোরণে ভানু বাগের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। সেখান থেকেই পুলিশ ভানু বাগ, তাঁর ছেলে পৃথিজিত বাগ ও ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এগরাকাণ্ডে গ্রেফতারি নিয়েও নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককেই নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে একটি ভিডিও-য় ভানু বাগের ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ''গরু, বালি, কয়লা, লটারি, বোমা-বারুদ, নিয়োগ দুর্নীতি…সারা রাজ্যেই ভাইপো রাজ !''
আরও পড়ুন- পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না, এগরা বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ গ্রেফতার
এদিকে, এগরায় বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে বিস্ফোরণের পরে দুর্ঘটনাস্থলের ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমও। শুনানি শেষে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- চরম অস্বস্তিতে অভিষেক, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিরাট ‘শাস্তি’র মুখে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা
এগরার খাদিকুল গ্রামের ঘটনায় বিস্ফোরক আইন লাগু বিতর্কে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এবং মৃত্যু দেখে মনে হচ্ছে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যেহেতু তদন্ত শুরু হয়েছে, তাই সিআইডি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে আইন মোতাবেক এনআইএর-ও তদন্ত করবার অধিকারও থাকবে।’
আরও পড়ুন- এগরার বিস্ফোরণ: তদন্তে CID-ই, ছবি দেখে আঁতকে উঠে ‘বিস্ফোরক আইন’ নিয়ে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির